ডেস্ক রিপোর্ট:
বরগুনা জেলার বেতাগী থানাধীন ৭ নং সরিষামুড়ি ইউনিয়নের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, যুব সমাজের অহংকার, সরিষামুড়ির কৃতি সন্তান, সৎ ও তরুণ সমাজসেবক মোঃ রেজাউল করিম (ইলিয়াস মৃধা) এর পক্ষ থেকে ৭ নং সরিষামুড়ি ইউনিয়নবাসিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে ৭ নং সরিষামুড়ি ইউনিয়নবাসিকে ঈদ উৎসব পালন করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র রমজানের কঠোর সিয়াম সাধনার মাস পেরিয়ে আসে ঈদ। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে উৎসব। আল্লাহর আদেশ পালনের পর তাঁর কাছ থেকে পুরষ্কার ও ক্ষমার ঘোষণা পাওয়ার দিন বিধায় এটি সাওম পালনকারির জন্য বাস্তবিকই উৎসবের দিন। প্রতি বছর ঈদের দিনে নির্ধারিত ঈদগাহে নামাজ আদায় ও ফিতরা আদায়ের পর আমরা পারস্পরিক কোলাকোলি, করমর্দন করে সকল ভুল বোঝাবোঝির অবসান ঘটিয়ে ভেদাভেদ ভুলে উৎসবানন্দ করি। এবার ঈদ এল ব্যতিক্রম এক পরিবেশে। সারাবিশ্ব আজ এক হয়ে এক একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অথচ প্রচন্ড ভয়ানক ও শক্তিশালী জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমাদের দেশও ব্যতিক্রম নয়। কোভিড ১৯ তথা করোনা নামক এ ভাইরাসের সাথে লড়াইয়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই প্রধান হাতিয়ার। তাই সারাবিশ্ব কার্যত লকডাউন হয়ে আছে। তাই এবারে ঈদে আমাদের চিরাচরিত কোলাকোলি, করমর্দন, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়া, বন্ধু-বান্ধব মিলে পার্ক, সিনেমা বা পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যাওয়া এসব রীতি পরিহার করতে হবে। ধর্মীয় কর্তব্য কর্ম যেমন নামাজ ও ফিতরা আদায় করে আল্লাহ-তায়ালার দরবারে জানা-অজানা ভুল-ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে করোনাসহ সকল প্রকার রোগ, বলাই, আপদ, বিপদ, দুর্যোগ, মহামারী থেকে পরিত্রান চাইব। করোনা সংক্রমিত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে সারাবিশ্বে অসংখ্য ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, মেডিকেল টেকনিসিয়ান নিজেরা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন। করোনাকালে মানুষকে নানামুখী সেবা দিতে গিয়ে অনেক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য, স্বেচ্ছাসেবী, সাংবাদিক, দাফন কার্যে নিয়োজিত অনেকেই করোনায় সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। করোনা যুদ্ধের এ বীর শহীদসহ করোনার সংক্রমনে সারাবিশ্বে যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং সুপার সাইক্লোন আম্পানের কারণে যারা প্রান হারিয়েছেন তাঁদের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করব। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে যারা এখনো অসুস্থ রয়েছেন সকলের আরোগ্য লাভে সৃষ্টিকর্তার কাছে আকুতি জানাব। ঘূর্ণিঝড়ে যারা ঘরবাড়ি, আবাসস্থল হারিয়ে ও ফসলাদি, বাগান বিনষ্ট হওয়ায় ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তাদেরকে যেন আল্লাহ-তায়ালা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করার তাওফিক দান করেন সে প্রার্থনা করব। আর নিজ নিজ ঘরে থেকেই ঈদ উদযাপন করব। পরম করুনাময়ের অপার কৃপায় সারা পৃথিবীর সকল মানুষ অচিরেই স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নগরবাসীকে জানাই ঈদ মুবারক। আসুন আমরা সবাই সচেতন হই, সুস্থ থাকি, সুস্থ রাখি। এবাদত বন্দেগীতে নিজ নিজ ঘরে ঈদ উদযাপন করি। সকলকে ধন্যবাদ।