নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার কারণে কার্যত লকডাউনের মধ্যে প্রথম ঈদ উৎযাপিত হচ্ছে রাজধানীসহ সারা দেশে। অন্যান্য ঈদে ঢাকা ফাকা থাকলেও এবারের ফাকা থাকাটা একেবারেই অন্যরকম।
একে লকডাউন, তার ওপর করোনা রোধে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় রাজধানীর কোথাও কোনো উল্লেখযোগ্য গণজমায়েত নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারিতে মহাসড়কগুলোতে কিছু মানুষের দেখা মিললে তা খুবই সীমিত। তবে, পাড়া মহল্লায় স্বাস্থ্যবিধি ভেঙ্গে ঈদ উৎযাপনের চিত্রও নজরে এসেছে।
দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হেলমেট ছাড়া এক বাইকে তিনজনকে চড়তে দেখা গেছে। এমন চিত্র দেখা গেছে রিকশায়ও।
মোহাম্মদপুর, জিগাতলা, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের নামাজ শেষে বেশ কিছু মানুষ জটলা করে ঈদের আমেজে খোশ গল্প করছেন। এসময় মোহাম্মদপুর এলাকায় র্যাব সদস্যরা তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিয়ে গণজামায়েত করতে নিরুৎসাহিত করে।
এদিকে বিভিন্ন এলাকায় ছিন্নমূল মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন অনেকেই। এমনই একজন হচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ। দুপুরে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে রিকশাচালকসহ প্রায় ৩০০ জন দুস্থকে খাবার দিতে দেখা যায়।
এসময় তিনি বলেন, আমরা সারা মাসই ছিন্নমূল ও রিকশাচালকদের খাবার দিয়েছি। আজ ঈদের দিন, সেজন্য আজও খাবারের ব্যবস্থা করেছি। খাবার মেন্যুতে রেখেছি সেমাই, ভাত আর গরুর মাংস। যদি করোনা পরিস্থিতি এমনই থাকে, তাহলে আগামী জুমা থেকে করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক জুমা বারের দুপুরে ভাত ও গরুর মাংস দিয়ে তাদের খাওয়াব।
এদিকে করোনা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও টিএসসি এলাকায় ঘুরতে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মিফতাজুর রহমান পিয়াস নামে এক যুবক বলেন, প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ঘরবন্দী আছি। ঘরে থেকে থেকে একঘেয়েমি এসে গেছে। করোনার শঙ্কা থাকলেও আজ ঈদের আনন্দ উৎযাপন করতে একটু বের হয়েছি। ভয়ভিতি নিয়ে যথাসাধ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি। এমন ঈদ আমরা চাই না। দ্রুত দুনিয়া ও দেশ স্বাভাবিক হোক। আমরা আবার স্বাভাবিক সময়ে ফিরে যেতে চাই।
খোশবুল নামের আরেকজন বলেন, ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। আর অনেক দিন ঘরের বাইরে বের হতে পারিনি, তাই বের হলাম আরকি। ঝুঁকি আছে জানি, তবে আজ তো ঢাকা শহর অনেক ফাঁকা। আর আমিও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলছি।