পটুয়াখালীতে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরও পাঁচজনসহ জেলায় মোট ৫৩ জন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ১৭ জন, বাউফলে ১৪ জন, দুমকিতে ৯ জন, রাঙ্গাবালীতে চারজন, দশমিনায় চারজন, মির্জাগঞ্জে তিনজন এবং কলাপাড়ায় দুইজন।
এসব রোগীদের মধ্যে ২৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং বাউফল, দুমকি ও পটুয়াখালী সদরে একজন করে মোট তিনজন মারা গেছেন। বর্তমানে ২৫ জন বিভিন্ন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও পাঁচজন কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।
এদের মধ্যে বাউফল, দুমকি ও পটুয়াখালী সদর উপজেলায় একজন করে মারা যায়। এছাড়া করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ২৫ জন এবং ২৫ জন বিভিন্ন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ জন, বাউফলে সাতজন, দুমকিতে তিনজন ও মির্জাগঞ্জে দুইজন আক্রান্ত রয়েছেন। বর্তমানে পটুয়াখালী সদরে ১৩ জন আক্রান্তের মধ্যে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নিজামুল হক ও দৈনিক ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান এনামুলও রয়েছেন।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, আগের চেয়ে নমুনা সংগ্রহ (টেস্ট) বাড়ছে। এ কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এখন টেস্ট যতো বেশি হবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ততোই বাড়বে।
তবে, এ পর্যন্ত ৫৩ জন আক্রান্ত হলে ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ২৫ জন আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন। বাকি তিনজন মারা গেছেন। সবাই যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন তাহলে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও হ্রাস পাবে।
প্রসঙ্গত, গেল আট মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং গেল ১৯ এপ্রিল থেকে পটুয়াখালী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু বিভিন্ন গোপন পথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ থেকে লোকজন আসার পর থেকে পটুয়াখালীতে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তেই থাকে। বিশেষ করে ঈদকে কেন্দ্র করে লকডাউন শিথিল করার পর থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হরে বাড়ছে।