বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

করোনা: লাল-সবুজ-হলুদে ভাগ হচ্ছে দেশ

করোনা: লাল-সবুজ-হলুদে ভাগ হচ্ছে দেশ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বিবেচনা করে দেশকে তিন রঙের- লাল, সবুজ ও হলুদ এলাকায় (জোন) ভাগ করা হবে। এসব জোন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এক জোন থেকে আরেক জোনে (খারাপ অবস্থা থেকে ভালোর দিকে) নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

সোমবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলা ও উপজেলা এখনও ভালো আছে। আমরা সেটা ভালো রাখতে চাই। সেটা রাখতেই আজ এই সভা করা হলো। গত পরশুদিন আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। সেখানে  এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোকে সাময়িক লকডাউন করা হবে। ঢাকা, নারায়াণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। যদি কোনো জোন রেড (লাল) হয় এগুলোকেই তা করা হবে।’

তবে এখনও কোনো রঙের এলাকা চিহ্নিত করা হয়নি বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।

এলাকাভিত্তিক লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘জোনের মাধ্যমেই সব করা হবে। যেখানে বেশি সংক্রমিত হবে সেখানে কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখা হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেবেন সেভাবেই আমরা কাজ করব।’

আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমাদের সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বাড়ছে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার হারও বাড়ছে। আজ সেজন্য কয়েকটা জোন (এলাকা) মার্কিং করছি। যেমন— রেড, গ্রিন ও ইয়োলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল এ জোনগুলোর মধ্যে রেড জোনকে কীভাবে গ্রিন জোন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা দেবেন। সেই প্রস্তাবনা আমরা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করব।’

জোন কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা এটা বাস্তবায়ন করবেন বা জোনিং করবেন।’

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। সেটা নিয়ে আজকের সভায় নীতিগত আলোচনা হয়েছে। এখন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেওয়া হবে। তখন মেয়র, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়—সবাই মিলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন— স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech