জানা গেছে, গোপন খবরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকা থেকে সাইমুনকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাউফল পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া সনজিৎ সাহা ওরফে সুনু সাহার বাড়ির কাছের একটি ডোবা থেকে যুবলীগকর্মী তাপসকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে দুপুর দুইটার দিকে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
এসময় আসম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগকর্মী তাপস দাসকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় আহত হয় উভয়পক্ষের ১৫ নেতাকর্মী।
ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামে আরেক যুবলীগকর্মীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই তাপসের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত তাপসের ভাই পংকজ দাস বাদি হয়ে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।