পটুয়াখালীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাবুল লাল দাস (৬২) নামে অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে জ্বর-গলা ব্যথা ও শ্বাস-কষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে পটুয়াখালীর আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাবুল দাসের বাসা পটুয়াখালী পৌর শহরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের থানা পাড়ায় এবং সে ওই এলাকার শুরেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে। বাবুল দাস পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ও সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেছেন এবং বছর দুই আগে সে অবসর গ্রহণ করেন।
পটুয়াখালীর আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মতিন জানান, বাবুল লাল দাসকে হাসপাতালে আনার পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। উপসর্গ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তিনি করোনায় মারা গেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে আসলে তার কি হয়েছিল।
এদিকে পটুয়াখালীতে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণে গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরও দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ দুইজনের মধ্যে একজন কলাপাড়ার ও একজন পটুয়াখালী সদর উপজেলায়। এ নিয়ে এই পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় ৬৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চারজন মারা গেছে। ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন এবং ৩৬ জন বর্তমানে বিভিন্ন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮ জন, বাউফলে ১০ জন, কলাপাড়ায় তিনজন, দুমকিতে দুইজন, মির্জাগঞ্জে দুইজন এবং দশমিনায় একজন আক্রান্ত রয়েছেন।
পটুয়াখালী সদরে আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নিজামুল হক ও দৈনিক ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান এনামুলও রয়েছেন।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিকে কোভিড-১৯ এর নিয়ম মেনে শেষকৃত সম্পন্ন করা হবে।