বরগুনার বামনা উপজেলার খোলপটুয়া গ্রামে বিডিআর সদস্য মো. রাজিব হোসেন খান(২৪) এর বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছে প্রেমিকা। প্রায় ২২ ঘন্টা পরে বামনা থানা পুলিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষের সমঝোতায় ওই প্রেমিকাকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় প্রেমিকার মা বামনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গতকাল সোমবার(২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় ওই নারী তার প্রেমিক বিডিআর সদস্য রাজিব হোসেন এর বাড়ীতে গিয়ে বিয়ের দাবী করেন এবং সেখানেই সারারাত না খেয়ে অনশন শুরু করেন। প্রেমিকা বাড়ীতে আসার সাথে সাথে ওই বিডিআর সদস্য বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার(৩০ জুন) দুপুরে পুলিশ সে বাড়ীতে গিয়ে ওই নারীকে বামনায় থানায় নিয়ে আসেন। সেখানে বিভিন্ন প্রকার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২২ ঘন্টা পরে পুলিশ কৌশলে তাকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়।
বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন করা ওই নারী বলেন, আমার সাথে দ্বির্ঘদিন রাজিব প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। আমার অন্য এক ছেলের সাথে বিবাহ হলেও সে সেখান থেকে আমাকে চলে আসতে বলে। আমি সেখানে একদিনও ঘর সংসার করিনি। পরে আমার পরিবার আবার আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়। সেখানেও রাজিব আমার বিষয়ে বিভিন্ন প্রকার কথা বলে আমার সংসার ভেঙ্গে দেয়। মাত্র ১৬দিন আমি শেষের স্বামীর ঘর করতে পারি। এর পর থেকে সে আমার সাথে ফোনে ও সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হই। তবে আজ নয় কাল বলে সে আমাকে ঘুরাতে থাকে। পরে যখন আমি জানতে পারি রাজিব গোপনে একটি মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছে তথন আমি প্রেমের দাবী নিয়ে তার বাড়িতে এসে উঠি। ওর কারনে আমার দুটো সংসার ভেঙ্গে গেছে। অথচ এখন সে আমাকে বিয়ে করতে চায়না। আমি এর বিচার চাই। আমি তার সংসার করতে চাই।
বিডিআর সদস্য রাজিব হোসেন খানের বাবা মজিবর খান বলেন, মেয়েটির কয়েকবার বিয়ে হয়েছে। আমার ছেলে যেহেতু একটি ভালো চাকরী করে তাই তাকে ফাঁসাতে চায় এ মেয়েটি। আমরা কিছুতেই এ মেয়ের সাথে ছেলেকে বিয়ে দিবোনা।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, মেয়েটি ছেলে বাড়ীতে এলে ছেলের পক্ষের লোকজন পুলিশকে ম্যানেজ করে ওই মেয়েটিকে তার ন্যায্য দাবি থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছে।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াস আলী তালুকদার বলেন, মেয়ের মা গত সোমবার রাতে একটি অভিযোগ দিয়েছে। যেহেতু মেয়েটির প্রেমিক বর্তমানে পলাতক তাই তাকে খুজে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। আপাদত মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।