বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

পটুয়াখালীর লঞ্চে উদ্ধার হওয়া তরুনীর লাশের পরিচয় মিলেছে

পটুয়াখালীর লঞ্চে উদ্ধার হওয়া তরুনীর লাশের পরিচয় মিলেছে

গলাচিপার সেই অজ্ঞাত তরুণীর লাশের পরিচয় মিলেছে। উপজেলা চিকনিকান্দি ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ কারালের মেয়ে লামিয়া। গত তিন মাস আগে রংপুরের জনৈক আল আমিনের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয় তাঁর। তিন মাস আগে গলাচিপার চিকনিকান্দি লামিয়ার গ্রামের বাড়িতেই লামিয়া-আল আমিনের বিয়ে হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন গলাচিপা থানার ওসি আখতার মোর্শেদ।

চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু বকর সিদ্দিক জানান, উপজেলার কচুয়া গ্রামের আজিজ কারালের মেয়ে লামিয়া দীর্ঘ দিন ঢাকা থাকত। এ সুবাদে মোবাইলে পরিচয় হয় আল আমিনের।

গত তিন মাস আগে আল আমিনকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি গলাচিপার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের আসলে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আল আমিন ও লামিয়া গলাচিপা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। শনিবার সকালে অজ্ঞাত হিসেবে গলাচিপা থানা পুলিশ বাগেরহাট ২ লঞ্চ থেকে লামিয়ার লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করে এবং পটুয়াখালীতেই অজ্ঞাত হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুলে লাশ দাফন করা হয়।

আবু বকর সিদ্দিক আরো বলেন, ফেসবুকে নিউজ ও ছবি দেখে এলাকার লোকজন লামিয়াদের বাড়ি যায়। ছবি দেখে ছোট ভাই রাজিব লামিয়াকে শনাক্ত করে।

লামিয়ার ছোট ভাই রাজিব জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে আমাদের বাড়িতে দুলাভাই (আল আমিন) আর আপু বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দোতলা লঞ্চে ঢাকা চলে যায়। রাজিব আরো জানায়, আজ মঙ্গলবার সকালেও দুলাভাই (আল আমিন) আপুর ব্যাপারে আমাকে মোবাইল করে কথা বলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুলাভাই আমাদের বাড়িতে আসেনি।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার ওসি আখতার মোর্শেদ বলেন, লামিয়ার ছোট ভাই রাজিব ছবি দেখে তার বোনকে (লামিয়াকে) শনাক্ত করে। গত শনিবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ওই সময় লাশের পরিচয় না পাওয়ায় আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে। তবে ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি বাগেরহাট ২ লঞ্চটি গলাচিপার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এ সময় অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে অজ্ঞাত তরুণীটিরও সদরঘাট থেকে লঞ্চে ওঠে। যাত্রীরা লঞ্চ কর্মচরীদের জানিয়েছে, লঞ্চে ওঠার পর তরুণীটি তার সঙ্গে থাকা এক যুবক একসাথে বসে মুড়ি ও অন্যান্য খাবার খায়। পরে লঞ্চটি ফতুল্লা লঞ্চঘাটের পর আর ওই যুবকে দেখা যায়নি। কিন্তু ফতুল্লা ঘাট ছাড়ার কিছু পরেই তরুণীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশের যাত্রীরা লঞ্চ কর্মচারীদের জানায়। লঞ্চের কর্মচারীরা ঘটনাস্থল এসে পরবর্তী ঘাটের জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু রাত ২টার দিকে (ধারণা করা হয়) তরুণীটির মৃত্যু হয়।

তরুণীটির সঙ্গে থাকা শপিং ব্যাগের মধ্য থেকে একটি সাদা রুমালে লাল সুতার সেলাই করে লেখা ছিল ‘লামিয়া আলম’ আর হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল ‘এলএ’।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech