অবশেষে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন ও কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিমের প্রচেষ্টায় বিআর-২৩ বীজ ধান পেল আমতলীর কৃষকরা। এনিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি অফিসারের প্রচেষ্টায় সোমবার বিআর-২৩ বীজ ধান আমতলীতে আসে। ওই বীজ ধান ডিলারদের কাছ থেকে সরকারী নির্ধারিত মুল্যে কৃষকরা কিনে নিচ্ছেন। ধান পেয়ে উচ্ছাসিত তারা।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, আমতলীতে এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। ওই জমির আবাদের জন্য বীজ ধান প্রয়োজন ৫’শ ৮০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৯৫% কৃষক ফলন ভালো হওয়ায় বিআর-২৩ জাতের বীজ ধানের চাষাবাদ করেন। উপজেলার মোট জমির অর্ধেক বীজ মজুদ রেখে থাকেন কৃষকরা। অবশিষ্ট অর্ধেক জমির জন্য দুই’শ ৯০ মেট্রিক টন বীজের চাহিদা রয়েছে।
আমতলী কৃষি অফিস দুই’শ ৯০ মেট্রিক টন আমন ধানের বীজ বরাদ্দ চেয়ে পটুয়াখালী বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে চাহিদা পাঠিয়েছে। কিন্তু বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ৫৮ মেট্রিক টন বীজ ধান সরবরাহ করেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। এতে বীজ সংকটে পরে উপজেলার কৃষকরা। উপজেলার ডিলার ও বীজের দোকানে বিআর-২৩ ধানের বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। বীজ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে কৃষকরা।
এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের নজরে আসে। পরে ইউএনও মনিরা পারভীন ও উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিমের প্রচেষ্টায় সোমবার বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলীতে ৪৩ মেট্রিক টন বিআর-২৩ জাতের বীজ ধার সরবরাহ করেছে। ওইদিন থেকেই ডিলাররা সরকারী নির্ধারিত মুল্যে কৃষকদের কাছে ধান বিক্রি করছে। শেষ মুহুর্তে বিআর-২৩ ধানের বীজ পেয়ে খুশি কৃষকরা।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, আমতলীর কৃষকরে জন্য পটুয়াখালী বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ৪৩ মেট্রিক টন বীজ সরবরাহ করছে। সরকারী নির্ধারিত মুল্যে কৃষকরা ডিলারদের কাছ থেকে বীজ ধান কিনে নিচ্ছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, উপজেলায় বীজ ধানে কোন সঙ্কট নেই। পর্যাপ্ত বীজ এসেছে। তিনি আরো বলেন, বীজ ধান বিক্রিতে কেউ অনিয়ম করে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।