পটুয়াখালীতে যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় তাহমিনা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্বামী মো. রফিকুল ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিতা নারী।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের মো. ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গ্রাম্য পশু চিকিৎসক।
গৃহবধূ তাহমিনা বেগম অভিযোগে জানান, ১৭ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দু’টি ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী যৌতুকের জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন। এমনকি বাবার বাড়িতে তার যে সম্পত্তি রয়েছে তাও স্বামীকে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজী না হওয়ায় স্বামী প্রায়ই তাকে মারধর ও নানা ধরণের নির্যাতন করতেন।
কিন্তু ছেলে দু’টির মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি সব নির্যাতন মুখ বুঁজে সহ্য করেন। শনিবার বিকালে যৌতুক ও বাপের বাড়ির সম্পত্তি দেওয়ার জন্য স্বামী তাকে বেদম মারধর করেন এবং মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন জখম অবস্থায় তাকে পটুয়াখালীর আড়াইশ’শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ জানান, নির্যাতিতা তাহমিনার স্বামী রফিকুল ইসলামকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।