তালতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের পাঁজরা ভাঙা গ্রামে চার সন্তান নিয়ে নারিকেল পাতা ও পলিথিন দিয়ে মাথা গোজার চেষ্টা করছেন অভাগী হাসিনা ।
কিশোরী বয়সে সংসারে অভাবের কারনে অল্প বয়সে বিয়ে হয় হাসিনা বেগমের, সাত বছর আগে রিকশা চালক স্বামী মোকছেদ মোল্লা ঋণগ্রস্ত হয়ে নিরুদ্দেশ হন। আর কোন খোঁজ খবর পাননি, । এখন এক কথায় বলা যায় স্বামী পরিত্যক্তা না খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে হাসিনা ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৮ বছর আগে স্বামীর রেখে যাওয়া জরাজীর্ণ ঘড়ের দেহাবশেষ পরে রয়েছে । সেই ঘড়ে নারিকেল পাতা ও পলিথিন দিয়ে কোন রকম, মাথা গোজার চেষ্টা হাসিনার। ঘড় না থাকায় ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কখনো পাশের বাড়ি ননদের বাড়ির বারান্দায়, কখনো কুয়াকাটা শুটকি পল্লীতে থাকেন। অন্যের বাড়ি ও শুটকি পল্লীতে কাজ করে, কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে অভাগী হাসিনা পরিবারের ।
পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে বাচ্চা গুলো কংকালসার ও খর্বকায়, অর্থাভাবের কারনে সন্তান গুলো স্কুলগামী হচ্ছে না।
অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে হাসিনা বেগম বলেন, গরীব হয়ে জন্ম নেওয়া মানুষের জন্য এক হিসেবে অন্যায়, সন্তানদের লেখা পড়া শেখানো যায়না। দিতে পারিনা দু মুঠো ভাত অসুস্থ হলে পরে থাকতে হয় বিনা চিকিৎসা বিছানায় পড়ে। রাত হলে ঠাই অন্যের বাড়ীর বারান্দায় এটা কি জীবন? স্বামী নিখোঁজ মানুষের কাছে শুনছি,আমার স্বামী হিলট্টাকসের (পার্বত্য চট্টগ্রাম) কোন এক গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। আমিতো মা সন্তানদের কোন ভাবে ফেলে রেখে যেতে পারিনা। ঝড় বৃষ্টি যাই হোক আমি আমার সন্তান দের বুকে নিয়ে বাঁচতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটু মাথা গোজার ঠাই চাই। সন্তানদের গৃহহীনের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে চাই।