বাংলাদেশে চলতি বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই দেশের মানুষদের নজর কোভিড-১৯ উপসর্গ, নমুনা পরীক্ষা, আক্রান্ত, মৃত্যু, লকডাউন, সঙ্গরোধ, আইসোলেশন ও চিকিৎসা সেবার উপরে। বেশির ভাগ সময় পুলিশকেও এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হচ্ছে।
আর এই সুযোগে বরিশাল শহর সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ২২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জোড়া (বাবা-ছেলে) খুনের ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়াও বরিশাল জেলা থেকে অজ্ঞাত ৯ নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বরিশাল জেলা পুলিশের অপরাধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১৭টি এবং বরিশাল শহরে ৫টি খুনের ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। সেখানে জোড়াসহ ৪টি খুনের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও বাবুগঞ্জ, আগৈলঝাড়া ও মেহেন্দীগঞ্জের কাজিরহাট থানা এলাকায় একটি করে মোট ৩টি, বানারীপাড়া ও হিজলা উপজেলায় ৩টি করে মোট ৬টি এবং উজিরপুর ও মুলাদী উপজেলায় ২টি করে মোট ৪টি খুনের ঘটনা ঘটে।
মাত্র দুইদিনের মধ্যে বাকেরগঞ্জের জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন করে জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া অন্যসব খুনের ঘটনায় আরও ২০ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বরিশাল জেলা পুলিশ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জুলফিকার আলী হায়দার জানান, চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২১ জুলাই পর্যন্ত বিএমপি থানাধীন এলাকায় ৫টি খুনের ঘটনা ঘটে এবং অজ্ঞাত ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, খুন, ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে সব সময়ই বরিশাল জেলা পুলিশ তৎপর ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তারপরও বিভিন্ন থানায় বিচ্ছিন্নভাবে অপ্রত্যাশিত ১৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব খুনের ঘটনায় ২০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব খুনের ঘটনায় সব কয়টিতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা তদন্তাধীন রয়েছে।
ভবিষ্যতেও এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি জনগণ এগিয়ে আসলে মাদক, সন্ত্রাস মুক্ত শান্তির বরিশাল জেলা গড়া সম্ভব হবে বলেও জানান এই এসপি।