পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঈদুল আযহার ছুটির শেষে কর্মমুখী মানুষ ছুটছেন ঢাকার পথে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে ঢাকায় ফিরার পথে জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে অফিস-আদালত শুরু হয়ে গেছে। হাতে ছুটি থাকায় তাই আজ শুক্রবার দুপুরে গলাচিপা লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী পুবালী-৫ লঞ্চে রওনা দিয়েছি। ঢাকার রাস্তাও মোটামুটি খালি পাওয়া যাবে।
লঞ্চের তৃতীয় শ্রেণীর মাস্টার কামাল হাওলাদার বলেন, গতকাল যাত্রীর চাপ অনেক বেশি ছিল। গত কয়েকদিন যাত্রীর চাপ কম থাকায় আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। আজ ভাল যাত্রী পেয়েছি। পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলেন, যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ ও প্রশাসন বেশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের কোনো প্রকার ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। পথে ভোগান্তি নিয়ে তেমন আপত্তি না থাকলেও নৌ-পথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, জীবনে কখনও শুনছেন ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেনি? সরকার যাই নির্ধারণ করে দিক না কেন? কেউই তা মানেন না। তবে কর্মক্ষেত্রে ফেরায় যাতে কোন ঝামেলা পোহাতে না হয় এটাই বড় কথা। লঞ্চে সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হচ্ছে দাবি করেন লঞ্চ ইন্সপেক্টর মো. বশার মিয়া।
তিনি বলেন, ঈদে সরকার যে ভাড়া নির্ধারণ করেছে তাই নেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয় নিয়ে লঞ্চ সুপারভাইজার কামাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, যাত্রীরা যাতে নিরাপদে কর্মক্ষেত্রে ঢাকা ফিরে যেতে পারেন সেজন্য প্রশাসনিকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।