বরগুনা জেলার বেতাগী-পটুয়াখালী সড়কটি সঠিকভাবে নির্মান কাজ নাা করায় নিয়মিত পন্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী ঢাকাগামী পরিবহন চলাচলে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে সকল ধরনের যানবাহনসহ ও জনসাধারনের চরম জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০১৭ সালের জুন মাসে বেতাগী বাসস্ট্যান্ড থেকে পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার পূর্নসংস্কারের জন্য দরপত্র আহবান করেন। এতে ৯ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘খান ইন্ডাস্ট্রিয়াল’ নামক প্রতিষ্ঠান এ সড়কের ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পূর্নসংস্কার কাজ সমাপ্ত করেন।
পন্যবাহী ট্রাক ও ঢাকাগামী যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো বেশি যাত্রীর আশায় বেতাগী বাসস্ট্যান্ড হয়ে সুবিদখালী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যায়। ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর যোগসাজশে নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করা হয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে অভিযোগ করেন।
গত কয়েকদিন যাবত একটানা প্রবল বর্ষণে সড়কের মধ্যে গর্তে পানি জন্মে ছোট-বড় ৫ শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে পানি জমে চরম দূর্ভোগে পড়েছে সংশ্লিষ্ট জনসাধারণ।
এতে ইজিবাইক , মটরবাইক, অটো রিক্সা , টেম্পো, পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রো গাড়ি, মুমূর্ষুু রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স, ঢাকাগামী পরিবহন ও লোকাল যাত্রীবাহী গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে প্রতিনিয়ত। এসব গাড়ির চালকসহ ভুক্তভোগীরা নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ, নারী-বৃদ্ধদের চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীর তদারকিবিহীন, নিন্মমানের পাথর খোয়া ও কাঁদা মিশ্রিত বালুর সঙ্গে লোকাল বালুর সংমিশ্রণ ও সামান্য বিটুমিন মিশ্রণে সড়কের কাজ করা হয়।
খান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহফুজ খান বলেন, ‘পটুয়াখালী-বেতাগী সড়কের ৬০ ভাগ কাজ মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক এবং বেতাগী বাস স্ট্যান্ড থেকে বেইলি ব্রিজ পর্যন্ত ও বাজার সংলগ্ন এলাকার বাকি ৪০ ভাগ কাজ বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবিরকে সাব-ঠিকাদার হিসেবে পূর্নসংস্কার কাজ করেন।
ঠিকাদার মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খাঁন মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ গত কয়েকদিন অতিরিক্ত প্রবল বর্ষণের কারণে এ সড়কের বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। পর্যবেক্ষণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি এবং সড়ক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
অপর দিকে সাব-ঠিকাদার বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির বলেন, ‘আমি যে অংশে কাজ করেছি তা এখনও অক্ষত আছে।
সড়কের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, মো. আশরাফুল আলম জানান, ‘সড়ক সংস্কারে অনিয়মের সত্যতার লিখিত অভিযোগ পেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’