বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন উভয় পক্ষ বরগুনা প্রেসক্লাবে।প্রথমে বেলা ১১ টায় আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। একই সাথে তিনি অনাস্থাকারীদের দলে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এসময় বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম কবির, বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু, তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবীর জমাদ্দার ও বেতাগীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান উপস্থিত ছিলেন।
এর পরপরই ১২টায় একই স্থানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ঘুষ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন আমতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহার মৃধা, গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. নুরুল হক, কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন তালুকদার, আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। একই সাথে তিনি টিআর, কাবিখাসহ সরকারি বরাদ্ধ থেকে পার্সেন্টিজ গ্রহন করেন বলেও উল্লেখ করেন তারা। সেই সাথে তিনি ২০০১ সালের পর থেকে প্রত্যেকটা জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী বিরোধী শক্তির হয়ে কাজ করেন বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম সরোয়ার ফোরকান অভিযোগ করেন, যারা আমাকে অনাস্থ দিয়েছে তারা এক সময়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলো।