দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর বরগুনায় ইউএনওদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বরগুনা জেলার ছয় উপজেলা ইউএনওর নিরাপত্তায় অ্যাসিস্ট্যান্ট প্লাটুন কমান্ডারসহ অস্ত্রধারী আনসার সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জেলার আনসার ও ভিডিপি জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সোলায়মান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইউএনওদের সরকারি ভবনে তাদের মোতায়ন করা হয়।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানা বলেন, সরাকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আমার বাসভবনের সামনে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসনের ১৭টি বিভাগের সমন্বয়সহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও আইনশৃঙ্কলা রক্ষয়া আমাদের কাজ করতে হয়। এ কারণে কিছু অসাধু মানুষ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। তবে সরকারি সিদ্বান্ত মোতাবেক যে নিরাপত্তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এ বিষয়ে কোনো সরকারি নির্দেশনা আমরা পাইনি।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় বরগুনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আনসার কমান্ড্যান্ট থেকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অস্ত্রধারী আনসার সদস্য মোতায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আনসার ও ভিডিপি বরগুনা জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সোলায়মান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বরগুনার ছয় উপজেলায় ইউএনওদের নিরাপত্তায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১০ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। পরে শুক্রবার একজন অ্যাসিন্ট্যান্ট প্লাটুন কমান্ডারসহ তিন অস্ত্রধারী আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা ইউএনওদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।