বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পায়রায় দেশের বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো শুরু হয়েছে।
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডাব্লিউপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট গত মে মাসে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, পায়রা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ পটুয়াখালী জেলার পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশল, ক্রয় ও নির্মাণ (ইপিসি) কাজের জন্য একটি চীনা কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
এতে বলা হয়েছে, চীনের ন্যাশনাল ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যা এনডাব্লিউপিজিসিএল এবং বিসিপিসিএল-এর যৌথ উদ্যোগ। বিসিপিসিএল এখন ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করছে। বিস্তারিতভাবে জানানো হয়, চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ, নর্থইস্ট ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেড এবং চায়না ন্যাশনাল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেডের কনসোর্টিয়াম ইপিসি ঠিকাদার হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তাবায়ন করছে।
খোরশেদুল আলম বলেন, বর্তমানে এনডাব্লিউপিজিসিএল জাতীয় গ্রিডে ২৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক কার্যক্রমে গেলে ৩১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এছাড়া ৮০০ মেগাওয়াটের খুলনা বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ১৩০০ মেগাওয়াটের পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ২৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি পৃথক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইপিসি ঠিকাদার হিসেবে চীনা বাস্তবায়নাধীন খুলনায় ৮০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ প্রদান করছে। ১৩০০ মেগাওয়াট পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অর্থায়ন করছে চীনা এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক। ২০২৩ সালে খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু এবং পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি একই বছরে নির্মাণ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।