বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন, একটি দেশের উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি টেকসই হওয়া।
সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে বিরত থেকে জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের আইন শৃংখলাকে টেকসই ও মজবুত করতে হবে।আমাদেরকে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হতে হবে।
রবিবার (২০ই সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বরিশাল আমতলামোড়স্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত নীতি নৈতিকতা ও পুলিশিং শীর্ষক বিষয় এক কর্মশালায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেছেন,আমরা বৃটিশ বা পাকিস্তানের পুলিশ নই।আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ।সুতরাং স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ হতে হলে আমাদেরকে পরিবর্তন হতে হবে।
যে উদ্দেশ্য নিয়ে রাষ্ট্র আমাদের চাকরি দিয়েছে সে উদ্দেশ্যকে সমুন্নত রেখে জনগনের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে।তার কারন জনগনের ট্যাক্সের টাকায় মাস শেষে আমাদেরকে বেতন দেয়া হয়।
আমরা যদি সঠিক ভাবে নীতি নৈতিকতার সাথে মানব সেবায় নিয়োজিত না হই তাহলে রাষ্ট্র যে উদ্দেশ্যে নিয়ে আমাদেরকে নিয়োগ দিয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল হবেনা।
উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ খাইরুল আলম বলেন,দেশের জন্য আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।সেই দায়বদ্ধতা থেকে কোন প্রকার প্রলোভনে পড়ে নীতি নৈতিকতা বিষর্জন দেয়া যাবেনা।এখানে যারা নীতি নৈতিকতা অনুযায়ী চলতে পারবেননা,তারা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোন পেশা বেছে নিতে পারেন।সৎ জীবন, সৎ চেষ্টা ও সৎ চিন্তার মাধ্যমে আমাদের পেশাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন,আইনের কাছে সবাই সমান,আইনের আশ্রয় পাবার অধিকার সবার রয়েছে।২/১ জন লোককে কেন্দ্র করে ২ লক্ষ্য লোকের বিচার করা যাবেনা।পৃথীবীতে যত অস্ত্র আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে কলম।
সুতরাং সেই কলম দিয়ে কারো কাছ থেকে প্রলুব্ধ হয়ে কোন মামলার চার্জশীট দেয়া যাবেনা।আমাদের সকলকে নৈতিকতা চর্চা করতে হবে।সকলে মিলে নৈতিকতার চর্চা করলে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।আর সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলেই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার দেশের জনতার পুলিশ হতে পারবো।