নাগরিক তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে (সিআইএমএস) সফলতার সঙ্গে কাজ করায় বরিশাল রেঞ্জের মধ্যে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার সকালে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, ঝালকাঠি জেলায় সাত লাখ নাগরিকের মধ্যে এক লাখেরও বেশি তথ্য সংগ্রহ করে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এতে নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর রয়েছে। এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে দ্রæততম সময়ের মধ্যে একজন নাগরিকের তথ্য পেতে মাত্র একমিনিট সময় লাগবে পুলিশের। নাগরিক তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে বরিশাল বিভাগের মধ্যে ঝালকাঠি জেলা সবচেয়ে এগিয়ে আছে। তাই এ জেলার পুলিশ সুপারকে রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফাতিহা ইয়াসমিন ঝালকাঠিতে যোগদানের পর বিভিন্ন অভিযান করায় অপরাধ কমে এসেছে। সন্ত্রাস দমনে ও মাদক নির্মূলে তিনি অসাম্য ভূমিকা রাখছেন। মাদক কারবারি, সেবনকারীদের গ্রেপ্তার ও তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আড্ডা বন্ধ ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধেও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় দিন রাত মাঠে রয়েছেন তিনি। মানুষকে সচেত করা, মাস্ক বিতরণ, পিপিই ও খাদ্যসামগ্রীও দিয়েছেন অসংখ্য মানুষকে। এছাড়াও তিনি সড়কে চাঁদাবাজী বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ট্রাফিক বিভাগকে গতিশীল করে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, ঝালকাঠিবাসীকে সেবা দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন ভাল আছে। আমরা সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেও এগিয়ে আছি। পুস্কার পাওয়া মানে কাজেরপ্রতি দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। এ পুরস্কার জেলার জন্য গৌরবের।