জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে বরিশালে অবরোধ পালন করেছে তরুণরা। বৈশ্বিক জলবায়ু কার্যক্রম দিবসের অংশ হিসেবে সুইডিস পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের আহবানে সাড়া দিয়ে এই কর্মসূচি আয়োজন করে ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস।
কোস্টাল ইয়ুথ একশন হাব ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে তরুণ জলবায়ুকর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার (২৪ই) সেপ্টেম্বর দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল প্রাঙ্গণে একত্রিত হয় একর্মসূচি পালন করে।
পরিবেশবাদী সংগঠন আরণ্যকের সভাপতি কথক বিশ্বাস জয়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মডেল ইয়ূথ পার্লামেন্ট’র চেয়ারপার্সন ফিরোজ মোস্তফা, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, কোস্টাল ইয়ুথ একশন হাবের ম্যানেজার জুবায়ের ইসলাম সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে আরোও জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে এ সময় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানব জাতি আজ বিপদাপন্ন।
এ বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় তরুণদের ভূমিকা আরও অর্থবহ করতে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে তা বাস্তবায়ন, সবকিছুতেই তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া করোনা প্রণোদনা যেন জলবায়ু-সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নকে সর্মথন করে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়ক সোহানুর রহমান জানান, জলবায়ু সংকটের কারণে গোটা বিশ্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি আমলে নিচ্ছে জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের অবস্থান সংকীর্ণ।
প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
তারা আমাদের ভবিষ্যত ও বর্তমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।