(বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতা দেয়া ও টিকিয়ে রাখার মালিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। সরকারকে সময় দেওয়ার বিএনপি কে? সরকার টিকে আছে জনগণের ইচ্ছায়, কারো দয়ায় নয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার জণগণের আস্থা নিয়ে সরকার পরিচালনা করছে। এদেশের মাটির অনেক গভীরে আওয়ামী লীগের শেকড়। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ অপরাধীদের আশ্রয় দেয় না। আওয়ামী লীগ জনগণের ভালোবাসায় টিকে আছে, টিকে থাকবে।’
‘সরকার অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়তো দিচ্ছেনই না বরং শাস্তির বিধান আরো কঠোর করতে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী মন্ত্রীসভায় আইন সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, কোন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথেই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনছে। বিএনপি মাঠে নামার আগেই সরকার অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করে দেয়। দলীয় পরিচয় অপরাধীদের শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারবে না।
সরকার কারো হাতে ইস্যু তুলে দিবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ধর্ষকদের বিচারের নামে আন্দোলনে নেমে ভিন্ন ভাষায় কথা বলে, জনসচেতনতা তৈরির পরিবর্তে সরকার পরিবর্তনের কথা বলে প্রকারন্তরে তারা ধর্ষকদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্ষনের বিচার চাইতে গিয়ে সরকার পতন আন্দোলনের কথিত ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ধর্ষক এবং ঘৃন্য অপরাধীদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি কথায় কথায় বলে ধর্ষণকারী ও অপরাধীদের সবাই নাকি সরকারি দলের। অথচ আজ পত্রিকায় এসেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির ছাত্রসংগঠনের সাবেক যুগ্ম আহবায়কের ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর ন্যাক্কারজনক অভিযোগ। মির্জা ফখরুল সাহেব এখন কি বলবেন যে, সরকার নির্বিচারে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। ষড়যন্ত্র, খুন আর সন্ত্রাস বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি, কারন তাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়,তাদের উৎস অন্ধকারের চোরাগলি।