মেঘনা নদীর মল্লিকপুর মোহনা থেকে নাজমুল হাসান (১৮) নামের এক যুবককে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে ঢাকা থেকে কলাপাড়াগামী এমভি সুন্দরবন-৬ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে প্রায় ত্রিশ মিনিট চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় লঞ্চের যাত্রী ও দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। উদ্ধারকৃত যুবককে শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী পূবালী-১ লঞ্চ থেকে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার জন্য লঞ্চের পিছন থেকে রুবেল নামের এক যুবক তাকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয় বলে উদ্ধার হওয়া যুবক নাজমুল হাসান জানান। এ ঘটনায় পূবালী-১ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত রুবেল কে আটক করে বরগুনা থানায় সোপর্দ করেছে। উদ্ধার হওয়া নাজমুল হাসান বরগুনা সদর থানার পরীরখাল এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
নাজমুল জানায়, ঢাকা থেকে বরগুনা আসার পথে জেলার তালতলী থানার রুবেলের সাথে পরিচয় হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে সে ও রুবেল লঞ্চের পিছনে যায়। এসময় মাকে ফোন দেয়ার কথা বলে রুবেল তার কাছ থেকে মোবাইলটি নেয়। মোবাইলটি নিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়।
সুন্দরবন -৬ লঞ্চের কেরানী মোশারফ হোসেন জানান, রাত নয়টারদিকে হঠাৎ মেঘনা নদীর মল্লিকপুর মোহনায় লঞ্চের সার্চ লাইটের আলোতে এক যুবককে নদীতে ভাসতে দেখে কিছু যাত্রী তাদের জানায়।
এসময় লঞ্চের গতি রোধ করে প্রায় ত্রিশ মিনিট চেষ্টার পর ওই যুবককে নদী থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ায় সে সুস্থ্য হয়ে উঠে। শুক্রবার সকালে উদ্ধার হওয়া যুবকের পরিবারের সাথে কথা বলে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পূবালী-১ লঞ্চ থেকে রুবেল নামের এক যুবককে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তারা উদ্ধার হওয়া যুবকের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। বর্তমানে দুজনই বরগুনা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে নাজমুলের ভাই ফেরদেীস জানায়।