বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

মহামারির সময় সেবা অব্যাহত রাখতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মহামারির সময় সেবা অব্যাহত রাখতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আসন্ন শীতে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের আরো বিস্তার রোধ করার বিষয়ে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারি চলাকালে মানবতার সেবা অব্যাহত রাখার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আগামী দিনগুলোতেও আমরা এই রোগের আরো প্রবল বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার রাতে ভার্চুয়ালি ‘ক্রিটিকাল কেয়ার-২০২০ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক ই-সম্মেলন’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিষ্টস (বিএসএ) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমই বাংলাদেশে মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার জরুরি ভিত্তিতে দুই হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ভাগ্যবান, কেননা এই রোগের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার উভয়ই বাংলাদেশে খুব কম।

শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসা একটি মহৎ পেশা এবং একজন অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা করে তারা মানবতার সেবা করছেন। কাজেই, আপনি যখন ডাক্তার হবেন, আপনার প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে মানবতার সেবা করা। আমি আশা করবো, যেকোনো পরিস্থিতিতেই আপনি আপনার দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ্যানেসথেসিওলজিস্টরা অপারেশন থিয়েটার ছাড়াও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অস্ত্রোপচারের আগে, চলাকালীন ও পরে এবং সম্পূর্ণ প্রিঅপারেটিভ কেয়ার প্রদানে সংশ্লিষ্ট অ্যানেসথেসিওলজি’র গুরুত্ব সর্বত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, এই চিকিৎসকরা রোগীকে অচেতন করা, নিবিড় পরিচর্যার ওষুধপত্র, গুরুতর জরুরি ওষুধ এবং ব্যথার ওষুধ প্রদানে নিযুক্ত থাকেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা যথাযথভাবেই তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেই। আমি গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য নিজেদেরকে যুগোপযোগী এবং কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে তুলতে তাদের প্রতি আহবান জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অ্যানেসথেসিওলজিষ্টরা এই মহামারি চলাকালিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে এবং এর বাইরেও কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ব্যবস্থাপনায় চমৎকার কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিষ্ট সরকারকে কোভিড-১৯ রোগীদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ব্যবস্থানার ক্ষেত্রে গাইডলাইন প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএসএ সারাদেশে নতুন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে এবং আইসিইউ চিকিৎসক ও কর্মীদের কোভিড-১৯ রোগীদের ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তিনি বলেন, কিছু অ্যানেসথেসিওলজিষ্টসহ বেশ কিছু চিকিৎসক কোভিড-১৯ চলাকালিন কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ সরকার সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করে যে, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিটা জনগণের মৌলিক অধিকার।

তিনি বলেন, আমরা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত শয্যা স্থাপন এবং চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার পরিধি বাড়িয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিগত কয়েক বছরে দেশে বেশ কিছু নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। অন্যদিকে বেসরকারি উদ্যেক্তারা এ খাতে বড় ধরণের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে।

তার সরকারের প্রতিষ্ঠিত প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেশের গ্রামীণ জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব কেন্দ্র থেকে রোগীরা ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিষ্টস (ডব্লিউএফএসএ) এর বর্তমান ও এবং সাবেক কর্মকর্তাসহ দেশের ও বিদেশের চিকিৎসকদের এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমি আশা করি আপনারা সবাই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে লাভবান হবেন। বাসস।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech