বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ

ব্যাট হাতে জিম্বুবয়েকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য বেধে দেয়ার পরই বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, বাংলাদেশই জিততে যাচ্ছে এই ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেটাই সম্ভব হলো এবং জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেলো সাকিব আল হাসানের দল। সে সঙ্গে ফাইনাল নিশ্চিত হলো আফগানিস্তানেরও।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলেই ফাইনাল। এই সমীকরণ নিয়েই খেলতে নামে বাংলাদেশ। কারণ, ঢাকা পর্বে আফগানিস্তানের কাছে হারলেও বাংলাদেশ ৩ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে হেরেছিল আফগানিস্তানের কাছে।
চট্টগ্রামে সেই জিম্বাবুয়েকে হারালেই বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ে যদি আফগানদের হারিয়েও দেয়, তাতেও কোনো সমস্যা হবে না বাংলাদেশের। লাভ হবে না তাদেরও। কারণ, ইতিমধ্যে দুটি ম্যাচ জিতে ফেলেছে আফগানরাও। সুতরাং, বিদায় ঘটলো জিম্বাবুয়ের।

১৭৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে ৮ রান যোগ করতে না করতেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে তারা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। বোলার সাইফউদ্দিনের ৫ম বলেই সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ব্রেন্ডন টেলর। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই বিদায় নেন তিনি।

পরের ওভারে বল করতে আসেন সাকিব আল হাসান। এবার ওভারের ৩য় বলে বোল্ড হয়ে গেলেন রেগিস চাকাভা। ২ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট। এরপর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে শফিউল ইসলামের বলে ক্যাচ দেন আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে।

তৃতীয় উইকেট পড়ার পর অবশ্য জিম্বাবুয়ে ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তিনোতেন্দা মুতুম্বোদজি। ২৭ রানের জুটি গড়েন এ দু’জন। অবশেষে লেগ স্পিনার আমিনুল বিপ্লব বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন মুতুম্বোদজির উইকেট। ৯ বলে ১১ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর রায়ান ব্রুলকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন শফিউল ইসলাম। ৩৭ রানেই নাই হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেট। ৪৪ রানের মাথায় ফিরে যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তাকে তুলে নেন লেগ স্পিনার আমিনুল বিপ্লব।

নেভিল মাদজিভা ১৫ বলে ৯ রান করে রানআউটের শিকার হন। শেষ মুহূর্তে কিছুটা ঝড়ো ব্যাটিং করে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন রিচমন্ড মুতুম্বামি এবং কাইল জার্ভিস। দু’জন গড়েন ৫৮ রানের জুটি। ২০ বলে ২৭ রান করেন জার্ভিস এবং ৩২ বলে ৫৪ রান করেন মুতুম্বামি। শেষ পর্যন্ত একেবারে শেষ বলে গিয়ে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

৩ উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং আমিনুল বিপ্লব। ১টি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দীন এবং সাকিব আল হাসান।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech