বরগুনা জেলার আমতলী-তালতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের সংযোগ আয়রন ব্রিজের বেহাল দশা। সংস্কারের অভাবে অত্যন্ত নড়বড়ে হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বরগুনা জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০ ফুট লম্বা এ আয়রন ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। জেলা পরিষদ থেকে দু-একবার সংস্কারও করা হয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে ব্রিজটির স্লিপার ভেঙে ও দেবে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে দিলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সংস্কার না করায় বর্তমানে ব্রিজটি বেহাল দশা।
ব্রিজটির দুই পাড়ে পঁচাকোড়ালিয়া বাজার, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, চরকগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরকগাছিয়া রশিদিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা, পাহলান বাড়ি নুরানি মাদরাসা, ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম কলেজ, বাবু আলী দাখিল মাদরাসা, পঁচাকোড়ালিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খানকায় হুসাইনিয়া নুরানি ও হাফিজি মাদরাসাসহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ব্রিজটি দিয়ে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপারগুলোর বেশির ভাগই ভেঙে যাওয়াতে ক্রস অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ব্রিজটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা স্লিপারের নিচে বাঁশ বেঁধে ব্রিজটির ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এ ব্রিজ দিয়ে পারাপারের সময় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। ব্রিজটি দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল না করতে পারায় বিপাকে পড়েন অটোবাইক, মোটরসাইকেল, টেম্পো, রিকশা, ভ্যানসহ অভ্যন্তরীণ রুটের বাহনের যাত্রীরা ও ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধিরাই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। তাই দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত আয়রন ব্রিজটি সংস্কার করা হবে।