কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট’র বন্ধু পরিচয়ে এক হাজতী আসামীর পরিবারের সাথে প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো: কামরুজ্জামান পলাশ (৪২) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালতের গেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত পলাশ পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ষ্টেনো কাম টাইপিষ্ট মো: কাইউম আকন্দ বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় প্রতারনা, আত্মসাত ও টাউট আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এজাহারকারীর বিবরনে জানা যায়, আদালতের কর্মচারীরা অফিস শেষে আদালত ভবন থেকে বের হওয়ার সময় লক্ষ্য করেন কামরুজ্জামান পলাশ নামের ওই প্রতারক মাদক মামলায় গ্রেফতারকৃত হাজতী আসামী উজ্জ্বল’র পিতা শাহজাহান কাজীর সাথে বাকবিতন্ডা করছে।
এসময় প্রকাশ হয়ে পড়ে প্রতারক পলাশ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট’র বন্ধু পরিচয়ে জামিন করিয়ে দেয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আরও ২৫ হাজার টাকার জন্য বাকবিতন্ডা করছে।
বিষয়টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র নজরে এলে তিনি ওই প্রতারককে গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: আসাদুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আদালতের ষ্টেনো কাম টাইপিষ্ট মো: কাইউম আকন্দ মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এর আগে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর সদর ইউনিয়নের জনৈক হারুন গাজী নামের এক দালালকে পুলিশ আটক করে মহিপুর থানায় টাউট আইনে মামলা দায়ের করে।
দীর্ঘ হাজত বাসের পর হারুন জামিনে মুক্তি পেলেও মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার আদালতে কর্মরত আইনজীবী সহকারীদের পরিচয় পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি আদালতের সামনে নিজের ঔরসজাত শিশু পুত্রকে কোলে নেয়ার অপরাধে এক বিচারপ্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগে দায়েরকৃত স্বপ্রনোদিত মামলায় অভিযুক্ত দুই আইনজীবী সহকারীকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করার সময় তিনি এ আদেশ জারী করেন। আগামী ৮নভেম্বর থেকে এ আদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।