বরগুনার তালতলীতে স্ত্রীর পরকীয়ায় যন্ত্রনা সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে ছোট ভাইজোরা গ্রামের তিন সন্তানের জনক শাহদাত মুন্সি (৩৫) শ^শুরবাড়ির তেতুঁলগাছের সাথে স্ত্রীর শাড়ি কাপড় গলায় পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ওই রাতেই নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার কওে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ২০০০ সালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া গ্রামের নয়া মুন্সির ছেলে শাহদাত মুন্সি একই গ্রামের আবদুল ছত্তার মিয়ার কন্যা লাকীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাহাদাত মুন্সি তার শ^শুর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
ইতিমধ্যে ওই দম্পতির ঘরে তিন সন্তানের জন্ম নেয়। গত দুই বছর পূর্বে তিন সন্তানের জননী স্ত্রী লাকি বেগম ওই গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে হাসান আলীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ-বৈঠক হয় কিন্তু লাকি তার অবৈধ সম্পর্ক বন্ধ করেনি। স্ত্রী লাকিকে স্বামী শাহাদাত মুন্সি শাসন করলেই ক্ষিপ্ত হয় প্রেমিক হাসান। এ ঘটনার জের ধরে প্রেমিক হাসান লাকির স্বামীকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে।
স্ত্রীর পরকিয়ার যন্ত্রনা সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে শাহাদাত শ^শুর বাড়ীর তেতুঁলগাছের সাথে স্ত্রীর শাড়ী কাপড় পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে। ঘটনার পরপর স্ত্রী লাকি ও প্রেমিক হাসান আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার পুলিশ তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই কালাম মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, শাহদাতের স্ত্রীর সাথে হাসান আলীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হতো।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠক হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী পরকীয়া ফেরাতে পারেনি শাহাদাত। স্ত্রীর পরকিয়ার যন্ত্রনা সইতে না পেরে শাহাদাত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নিহতের স্ত্রী লাকির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহারিত মুঠোফোন (০১৭৯….০১) বন্ধ পাওয়া গেছে।
তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমুত্যু মামলা হয়েছে।