নিউজ ডেস্ক:
যশোর সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বর্তমানে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে দিতে সুপারিশ করেছিলেন। মাস ছয় পরে জানতে পারেন সেই শিক্ষার্থীকে সি গ্রেড দেয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে যান রাশেদ খান মেনন।
সেখানে মাস্টার্স পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিল। কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিভাগের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তিনি কৈফিয়ত চান কেন সুপারিশ করা ওই শিক্ষার্থীকে কম নম্বর দেয়া হয়েছে। তার দলবলের আচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে রাশেদ খান শিক্ষকদের টেবিল চাপড়ে গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, রাশেদ এ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। সে বেশ কয়েকজনের ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল। কিন্তু একজনের বিষয়ে সুপারিশ রাখা সম্ভব হয়নি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে বিভাগে এসে গালিগালাজ করলো। তখন মাস্টার্স পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিল। বহিঃশিক্ষকের উপস্থিতিতে এভাবে গালিগালাজের ঘটনায় আমরা খুবই লজ্জা পেয়েছি।
জানতে চাইলে এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তালেব মিয়া বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়া একদল ছেলে ভূগোল বিভাগে গিয়েছিল। খবর পেয়ে আমি গিয়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দিই। শিক্ষকরা বললো ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর হেরফের হওয়ায় কিছু ছেলে এসেছিল। তেমন কিছু হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাশেদ খান বলেন, প্রিন্সিপ্যাল স্যার তো সেখানে ছিল। তার সামনে কথা হয়েছে। তেমন কিছু হয়নি। আপনি প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী নয়, রিলেটিভ এক ছোট ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করেছিলাম।