বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

আমতলীতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষন, ধর্ষকসহ এক নারী গ্রেপ্তার

আমতলীতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষন, ধর্ষকসহ এক নারী গ্রেপ্তার

আমতলীর চাওরা ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী (১৩) ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে। এঘটনায় মামলার পর ধর্ষক রুবেল (২৮) এবং তার সহযোগী রাশিদা বেগমসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার জেল হাজতে পাঠিনো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কাউনিয়া গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রীকে রবিবার সন্ধ্যায় কাজের কথা বলে একই বাড়ীর হানিফ রাঢীর স্ত্রী রাশিদা বেগম তার ঘড়ে ডেকে নেয়। পূর্ব থেকেই ওই ঘড়ে বসা ছিল রাশিদা বেগমের ভাইয়ের জামাই আমতলীর বৈঠাকাটা গ্রামের সেরাজ খলিফার ছেলে রুবেল খলিফা। মেয়েটি ঘড়ে ঢোকার সাথে সাথেই রুবেল কাপর দিয়ে মুখ চেপে ধরে কোলে করে ঘড়ের দোতালায় নিয়ে ধর্ষণ করে। রাশিদা বেগম এসময় ঘড়ের দরজায় তালা লাগিয়ে বাহিরে পাহারায় ছিল। ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে রাত ৮টার দিকে ছেড়ে দিলে ঘড়ে ফিরে সে ধর্ষনের কথা তার বাবা মা এবং দাদাকে জানায়। রাত ১০ টার দিকে দাদা ধর্ষনের এ ঘটনা আমতলী থানা পুলিশকে জানায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষনের এ ঘটনায় মেয়েটির দাদা রবিবার রাত ১২ টার দিকে বাদী হয়ে রুবেল এবং তার সহযোগীতাকারী রাশিদা বেগমকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ সোমবার সকাল সাড়ে ৪ টার সময় বৈঠাকাটা নিজ বাড়ী থেকে রুবেল এবং কাউনিয়া গ্রাম থেকে রাশিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার সকালে তাদেরকে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে।

আদালতে রুবেল এবং রাশিদা বেগম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দেয় বলে জানান মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম। পরে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন আদালতের বিঞ্জ বিচারক মো. সাকিব হোসেন।

সোমবার সকালে ধর্ষণের স্বীকার মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। আদালতে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্ধী শেষে সোমবার বিকেলে মেয়েটিকে তার দাদার জীম্মায় দেওয়া হয়েছে।

ধীর্ষতা মেয়েটি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মোরে রাশিদা বেগম কামে ডাইক্যা ঘড়ে নিয়া জায়। হেইহ্যানে রুবেল খলিফা আগেই বসা ছিল। মুই কিছু বোজার আগেই রুবেল খলিফা মোর মুখে কাপড় ঢুকাই দোতালায় উডাই জোর পূর্বক ধর্ষন করে। মুই এইয়ার বিচার চাই।

ধর্ষনের স্বীকার মেয়েটির দাদা এবং মামলার বাদী জানান, রাশিদা এবং রুবেল খুব খারাপ লোক। রাশিদার সহযোগিতায় রুবেল মোর নাতীডারে ঘড়ের দোতালায় উডাইয়া মুখে কাপড় ঢুকাইয়া জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। আমি ওগো ফাঁসি চাই।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাশিদা খারাপ প্রকৃতির লোক। সে পতিতার ব্যাবসা করে। বিভিন্ন উঠতি বয়সী মেয়েদের নিজ ঘড়ে ডেকে এনে ভয় ভিতি দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে যৌন কাজে ল্পিত করতে বাধ্য করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মামলার পর সোমবার সকালে ধর্ষক রুবেলকে তাদের বৈঠকাটা এবং রাশিদাকে কাউনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ধর্ষিতার দাদা বাদী হয়ে রবিবার রাত ১২ টায় রুবেল এবং রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আসামীদের গ্রেপ্তার করে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী গ্রহন শেষে তাদের জামিন আবেদন না মজ্ঞুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech