প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, ২৭ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ২২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ টি পদ ফাঁকা রয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ৫ জন। সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ৯ জন। ২১ জন বিভিন্ন দফতরের সম্পাদক, ২১ জন উপ-সম্পাদক, ৪১ জন সহ-সম্পাদক এবং ৭৫ জন পেয়েছেন নির্বাহী সদস্য।
কমিটিতে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে ২২ জন স্থান পেয়েছেন। যারমধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থান পেয়েছে বরিশাল জেলা থেকে এবং সর্বনিম্ন স্থান পেয়েছে ঝালকাঠি থেকে।
২২ জনের মধ্যে ৮ জন রয়েছেন বরিশাল জেলা থেকে। যার মধ্যে বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা পেয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ। জহির উদ্দিন খসরু পেয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক পদ। সহ-সম্পাদক পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, সাইফুল আলম সাইফুল, রাজিব আহম্মেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদ পেয়েছেন মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার। তাছাড়া নির্বাহী সদস্য পদ পেয়েছেন ইঞ্জি: আবু সাইদ মোঃ হিরো ও গোলাম শাহরিয়ার রনজু।
পটুয়াখালী জেলা থেকে স্থান পেয়েছেন চারজন। যারা হলেন, সহ-সম্পাদক পদে মামুন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ্যাড. মোঃ শামীম আল সাইফুল সোহাগ, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে রাসেদুল হাসান সুপ্ত এবং নির্বাহী সদস্য পদে বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার।
ভোলা জেলা থেকে স্থান পেয়েছেন তিনজন। যারমধ্যে উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক পদে কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, নির্বাহী সদস্য পদে প্রফেসর আকরাম হোসেন ও ড. আশিকুর রহমান শান্ত।
বরগুনা জেলা থেকে তিনজন স্থান পেয়েছেন। এরা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে সুভাষ চন্দ্র হালদার, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে পেয়েছেন গোলাম কিবরিয়া শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ইঞ্জিঃ মোঃ শামীম খান।
পিরোজপুর জেলা থেকে স্থান পেয়েছেন তিনজন। তিনজনই নির্বাহী সদস্য পদ। তারা হলেন, কামরুজ্জামান খান শামীম, মশিউর রহমান মহারাজ ও গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম।
এছাড়া ঝালকাঠি থেকে মাত্র একজন নির্বাহী সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন। তিনি হলেন মানিক লাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে যুবলীগ। ওদিকে দীর্ঘ সাত বছর পর জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে গত বছর দলটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ এবং মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। কংগ্রেসের এক বছরের মাথায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেলো যুবলীগ।