বিয়ের প্রলোভান দেখিয়ে ১৪ বছরের কিশরীর সাথে শারীরীক মেলামেশার এক পর্যয়ে অন্তসত্বা হয়ে পড়ার পরে বিয়ে করতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ৪ মাসের অন্তসত্তা অবস্থায় ২০০৯ সালের ২১ অক্টোবর তিনি মামলা করে ওই কিশোরী।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান বুধবার মামলার রায়ে বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।
এ ছাড়াও আসামীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ভিকটিম ও তার শিশু সন্তানকে প্রদান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার এজারে বাদী অভিযোগ করেন , আসামী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেন পরে বিয়ে করতে অপরাগতা প্রকাশ করে।
মামলার অপর দুই আসামী যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীর বাবা মাকে মামলার চার্জশীট থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছিল। ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষ ৮ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামী ১ জন সাফাই সাক্ষী দেয়। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি আশরাফুল আলম শিল্পী । আসামী পক্ষে ছিলেন কমল কান্তি দাস ও আঃ রহমান নান্টু।