আগামী ৫ অক্টোবর রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকা সফর করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), একজন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব ও অতিরিক্ত সচিব।
তারা সবাই বিমানে নির্বাচনী এলাকা সফর করবেন। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামবেন। সেখান থেকে রংপুরের নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। তারা চারজনই যাওয়া কিংবা আসার সময় সরকারি বিধি ভেঙে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিবর্তে বেসরকারি বিমান পরিবহন নভোএয়ার ব্যবহার করতে যাচ্ছেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসির উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) সংস্থাপন-২ মো. শাহ আলম সই করা পৃথক চারটি নথি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
যদিও দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চলাচল করে।
ইসি কর্মকর্তাদের সফরসূচি থেকে জানা যায়, নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার সময় সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও ইসি সচিব মো. আলমগীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ব্যবহার করবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ব্যবহার করবেন না। সরকারি বিধিবিধান ভেঙে তারা বেসরকারি বিমান নভোএয়ারে সফর করবেন।
যদিও ২০১৮ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ লুৎফর রহমানের সই করা এক আদেশে বলা হয়েছে, ‘যে যে গন্তব্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট রয়েছে, সেসব গন্তব্যে এখন থেকে সরকারি অর্থে আকাশ পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ব্যবহার করতে হবে। তবে বিমানের রুট না থাকলে অন্য এয়ারলাইন্সের সম্ভাব্য সরাসরি রুটে ভ্রমণ করা যাবে।’
এদিকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান ২৭ সেপ্টেম্বর নভোএয়ারে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট রয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চেক করে দেখা যায়, সিট ফাঁকাও রয়েছে। অর্থাৎ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট থাকা সত্ত্বেও তারা নভোএয়ার ব্যবহার করতে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে সিইসি নুরুল হুদা ও ইসি সচিব মো. আলমগীর ২৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী এলাকার উদ্দেশ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে রওনা দেবেন। কাজ শেষে ১ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিবর্তে নভোএয়ারে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
অতিরিক্ত সচিব ২৮ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর থেকে নভোএয়ারে এবং ইসি রফিকুল ইসলাম ১ অক্টোবর রাজশাহী থেকে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকায় ফিরবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তথ্য অনুযায়ী, ১ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট রয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চেক করে দেখা যায়, সিট ফাঁকাও রয়েছে। অর্থাৎ ফ্লাইট থাকা সত্ত্বেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিবর্তে নভোএয়ারে ঢাকায় ফিরবেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, আকাশপথে চলাচলের সময় যে রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট আছে, সেসব ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণ করতে হবে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা তো টিকিট যারা করেছে এরা বলতে পারবে। এটা না দেখে আমি বলতে পারব না। অথবা যে সময় আমাদের যাওয়া দরকার, সে সময় বিমান নাও থাকতে পারে।’