শামীম আহমেদ ॥ বরিশালে আয়করদাতাদের ভোগান্তির শেষ নেই। শেষ সময় আয়করদাতাদের উপচে পড়া ভিড় হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে
পারছেনা আয়কর বিভাগ। করদাতাদের দেখিয়ে-বুঝিয়ে দেয়ার মতো নেই কোন বুথ। রাখা হয়নি স্পট ব্যাংকিং ব্যবস্থা। অপ্রতুল ব্যবস্থার কারণে দীর্ঘক্ষণ গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আয়কর রিটার্ন সংগ্রহ করতে পারছেন না করদাতারা।
এ কারণে স্বাস্থ্যবিধিও রক্ষা হচ্ছে না। যদিও সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে আয়করদাতাদের ভোগান্তি লাগবের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আয়কর কমিশনার। সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের আয়কর দেয়ার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। গত কয়েক দিন ধরেই নগরীর আলেকান্দার ‘লাচিন ভবন’ কর ভবনে আয়করদাতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। রবিবার সকাল থেকে ওই অফিসের চত্বরে জড়ো হয় কয়েক শ’ আয়করদাতা। করদাতারা জানান, কর প্রদানে স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন ব্যবস্থা নেই কর ভবনে।
করদাতাদের দেখিয়ে-বুঝিয়ে দেয়ার মতো নেই পর্যাপ্ত বুথ। রাখা হয়নি স্পট ব্যাংকিং ব্যবস্থা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আয়কর রিটার্ন জমা কিংবা সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা। রিটার্ন জমা দিলেও রিসিভ কপি পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে করদাতারা। এছাড়াও নানাবিধ সমস্যা এবং চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে আয়কর প্রদান কার্যক্রম। এতে ক্ষুব্ধ আয়করদাতারা। বরিশালের কর কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আয়করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
তারা সাধ্যমতো করদাতাদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এরপরও কিছুটা ব্যতয় হয়ে যাচ্ছে। জেলায় এবার করদাতার সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে যাবে আশা তাদের। বরিশাল সদর ছাড়াও বিভাগের অপর ৫ জেলায় একইভাবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর বিভাগ আয়কর রিটার্ন
গ্রহনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তফা।