স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৬ সালে থিম্পুতে হারের পর বাংলাদেশের ফুটবলে আলোচিত এক নাম ছিল ভুটান। ফুটবলে হার-জিত স্বাভাবিক ঘটনা হলেও ওই হারে যেন বাংলাদেশের ফুটবলের জাত-কুলমান সবই চলে গিয়েছিল। একটি ম্যাচের হারের পর ফুটবলে নেমে আসে সব হারানোর বেদনা।
সেই হারের প্রতিশোধ বাংলাদেশ নিয়েছিল গত বছর ঢাকায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ ম্যাচে। তবে এক সময় ভুটানকে যে বাংলাদেশ গুনেগুনে গোল দিতো, সেই দিনগুলো যেন ফিরিয়ে আনলেন লাল-সবুজ জার্সিধারী ফুটবলাররা। আজ (রোববার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ভুটানকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা।
১২ মিনিটে ডান দিক থেকে জামাল ভূঁইয়ার ক্রসে জীবনের হেড কাঁপিয়ে দেয় ভুটানের জাল। জীবনই ৩৯ মিনিটে ডান দিক থেকে ইব্রাহিমের ক্রসে চলন্ত বলে দর্শণীয় সাইডভলিতে ব্যবধান দ্বিগুন করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই গোল করে ব্যবধান কমায় ভুটান। শেরিং দর্জির ফ্রিকিক বক্সে পড়লে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। সুযোগ সন্ধানী দর্জি খুব কাছ থেকে বল পাঠন জালে।
৬২ মিনিটে বদলি রবিউল হাসানের শট ভুটানের গোলরক্ষক জাম্ফেল দুর্দান্তভাবে ফিস্ট করে বাইরে গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। ৭০ মিনিটে বিপলু আহমেদ বক্স থেকে কোনাকুনি যে শট নেন তা বাইরে চলে যায় দ্বিতীয় পোস্ট ঘেঁষে।
ভুরিভুরি সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ায় ৭৫ মিনিটে বিপলু আহমেদের গোলে। সোহেল রানা প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দুই তিনজকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পাস দেন বিপলুকে। বিপলু দেখেশুনে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন।
বাংলাদেশ আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে চতুর্থবারের মতো ভুটানের জাল কাঁপায় ৮১ মিনিটে। বিপলু আহমেদ ও রবিউলের অসাধারণ সমন্বয়ে। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে দ্রুতগতিতে ঢুকে রবিউলকে বল বাড়িয়ে দেন বিপলু। বাধা দিতে আসা ভুটানের ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে চমৎকারভাবে গোল করেন এ সময়ের আলোচিত ফুটবলার রবিউল।
বিশ্বকাপ বাছাই দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ কাতারের মুখোমুখি হবে ১০ অক্টোবর, ঢাকায়। এরপর ১৫ অক্টোবর কলকাতায় ম্যাচ রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের আগে ভুটানের বিরুদ্ধে এই জয় নিশ্চিত বাংলাদেশের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।
বাংলাদেশ দল
আশরাফুল ইসলাম রানা, বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, রিয়াদুল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ, সোহেল রানা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম (রবিউল), সাদ উদ্দিন ও নাবিব নেওয়াজ জীবন(সুফিল)।