বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো মজবুত করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। আজ ১৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এমন তাগিদ দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। আজকের বৈঠকে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ পুনরায় উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাণিজ্য, কৃষি, জ্বালানি এবং পরিবেশসহ অন্যান্য বিষয়ে সাতটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দুই দেশ।
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে শেখ হাসিনা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের অগ্রগতির ধারার প্রশংসা করেন। তিনি এসময় উভয় দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির নানা দিক তুলে ধরেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের দিনটি আমার জন্য একটি বিশেষ দিন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্ত হয় কিন্তু আমরা মুক্ত হই ১৭ ডিসেম্বর। কাজেই দিনটি আমার জন্য বিশেষ দিন।’
শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে বলেন, ‘বিজয়ের মাসে আপনার সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চেতনায় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে।’
নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সকল ভারতীয় নাগরিকের পক্ষ থেকে শুভ কামনা জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করাকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
মুজিববর্ষে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে আসার বিষয়ে মোদি বলেন, ‘আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সম্মানজনক।’