বাংলাদেশের সব বিষয়ে ভারত অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। দুই দেশের সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একমত হয়েছেন। সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে অঙ্গীকার করেছেন তিনি। সীমান্তে বিএসএফ মারণাস্ত্র ব্যবহার করবে না বলেও তিনি অঙ্গীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
এর আগে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ও দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে অংশ নেন।
ওই বৈঠক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে অত্যন্ত খোলা মনে কথা বলেছেন। এতে আমরাই বেশি বলেছি। বিজয় দিবসসহ অন্য দিবসগুলো একত্রে উদযাপন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাই আমাদের কূটনৈতির সাফল্য। আমাদের বিজয়কে ভারত তাদের নিজেদের বিজয় মনে করছে। বিজয়ের এদিনে এটাই আমাদের অনেক বড় অর্জন।
ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমইও) স্বাক্ষর হওয়ার কথা বলেন। ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী চুক্তিগুলোতে সই করেন।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে তা হলো দুই দেশের সিইও ফোরামের টার্ম অব রেফারেন্স, কৃষি খাতে সহযোগিতা, হাইড্রোকার্বন বিষয়ে রূপরেখা, হাতি সংরক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও নয়াদিল্লি জাদুঘরের মধ্যে সহযোগিতা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু ও বরিশালের স্যুয়ারেজ প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক।