বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ধারণ

১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ধারণ

দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ। এই পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ)।তবে ভর্তি পরীক্ষা কবে হবে সেটি নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক সভায় এ পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে তিনদিনে তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র থাকবে। শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো পরীক্ষাকেন্দ্র পছন্দ করতে পারবেন। উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা (বাণিজ্য) বিভাগের জন্য আলাদা তিনটি পরীক্ষা হবে। বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আগের মতো আলাদা পরীক্ষা হবে না।

অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, ‘২০১৯ ও ২০২০ সালে যারা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করবেন তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম মোট জিপিএ-৬, বাণিজ্যে বিভাগের জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৬ দশমিক ৫ এবং বিজ্ঞানে দুই পরীক্ষায় ন্যূনতম মোট জিপিএ-৭ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৩ এর নিচে থাকলে আবেদন করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক বিভাগের পরীক্ষা হবে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ওপর। এর মধ্যে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং আইসিটিতে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ব্যবসায় শিক্ষায় (বাণিজ্য) হিসাববিজ্ঞান (২৫ নম্বর), ব্যবস্থাপনা (২৫ নম্বর), ভাষা (২৫ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ১৩ ও ইংরেজিতে ১২ নম্বর) এবং আইসিটি (২৫ নম্বর) বিষয়ে পরীক্ষা হবে। আর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ভাষা (২০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ১০ ও ইংরেজিতে ১০ নম্বর), রসায়ন (২০ নম্বর), পদার্থ (২০ নম্বর) এবং আইসিটি, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে আইসিটি, গণিত ও জীববিজ্ঞানের মধ্যে যেকোনো দুটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। যার প্রতিটির নম্বর হবে ২০ করে।’

শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার (২০১৯ ও ২০২০) পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নেবে সেটি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে বলে জানান তিনি।

যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech