আমতলী প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলী উপজেলার ১৯ নং বাদুরগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আরিফুর রহমান গত এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কোন কারন ছাড়াই বিদ্যালয়ে আসেন না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ রুনা লায়লা বিষয়টি তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাকে অবহিত করেছেন। শিক্ষা অফিসার তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানাগেছে, ২০১৩ সালে নভেম্বরে মাসে তালতলী উপজেলার ১৯ নং বাদুরগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোঃ আরিফুর রহমান সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ওই সময় থেকেই তিনি অনিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতেন। এ বিষয়টি প্রধান শিক্ষক তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেছেন। কিন্তু শিক্ষা অফিস প্রধান শিক্ষিকার কথায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেইনি এমন অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার। অনিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে গিয়েও সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমান গত পাঁচ বছর ধরে বেতন ভাতা তুলছেন। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত এক বছর তিনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। সহকারী শিক্ষককের বিদ্যালয়ের অনুপস্থিতির বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকা রুনা লায়লা তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেছেন। শিক্ষা অফিস ওই সময় থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ দিয়েছেন। শিক্ষক আরিফুর রহমান বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় ওই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমানের মুঠোফোনে (০১৭১২৫৯২১৯৪) বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ রুনা লায়লা বলেন, সহকারী শিক্ষক আরিকুর রহমান বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই অনিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতো। তাকে কিছু বললেই তিনি অসংলগ্ন কথা বলতেন এবং আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিতেন। এ বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেছি কিন্তু শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তিনি আরো বলেন, গত এক বছর ধরে শিক্ষক আরিফুর রহমান কোন কারন ছাড়াই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাইনি।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইসহাক হাওলাদার বলেন, ওই শিক্ষক গত এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে আসেন না। তিনি কোথায় আছেন তা বিদ্যালয়ের কেউ অবগত নয়। তার বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করে বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাই।
তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সফিকুল ইসলাম বলেন, সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।