যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের মেয়র শহরে আরও ১৫ দিন জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসি।
মেয়র মুরিয়েল বাউজার বলেছেন, “অনেকেই অস্ত্রসহ এখানে এসেছেন সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞে অংশ নিতে। তারা অস্ত্রের পাশাপাশি রাসায়নিক, ইট এবং বোতলও নিক্ষেপ করেছেন।”
জরুরি অবস্থার ঘোষণার ফলে ওয়াশিংটন ডিসির নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য কারফিউ দেওয়া, জরুরি পণ্য সরবরাহের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিত পারবে শহর কর্তৃপক্ষ।
২১ জানুয়ারি দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই ঘোষণা বলবৎ থাকবে।
এর আগে সহিংসতার জেরে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত শহরে কারফিউ জারি হয়।
বুধবার অধিবেশন চলাকালে মার্কিন কংগ্রেস ভবনে ঢুকে ট্রাম্প সমর্থকেরা। এ সময় ঘটা সহিংসতার নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারে দাঁড়িয়েছে।
প্রথমে বলা হয়, পুলিশের গুলিতে এক নারী নিহত হন। আহত হন আরও কয়েকজন। পরে আশঙ্কাজনকভাবে আহত আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
এখন পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪৭ জন কারফিউ ভেঙেছিলেন।
নভেম্বরের নির্বাচনে জয় লাভ করা জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদনের জন্য বুধবার আইন-প্রণেতারা অধিবেশনে বসেন।
সেসময় পরাজয় মেনে নিতে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিয়ে তার সমর্থকেরা কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে।
কয়েক ঘণ্টা কংগ্রেস ভবন কার্যত দখল করে সেখানে ভাঙচুর চালায় তারা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে তাদের।
স্থানীয় সময় দুপুরের পরই ওয়াশিংটনে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায়। হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ‘আমেরিকা বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে জমায়েত হতে থাকে।
একপর্যায়ে শত শত বিক্ষোভকারী ক্যাপিটলে ভবনে ঢুকে পড়তে থাকে। সেসময় কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে দেখা যায় পুলিশকে।
তবে পরিস্থিতি নিরাপদ হওয়ায় আবারও কংগ্রেস অধিবেশন শুরু হয়। সেখানে কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে নিন্দা ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। তারা এ ঘটনাকে মার্কিন ইতিহাসের ‘নোংরা ও কালো দিন’ হিসেবে আখ্যা দেন।