ডেস্ক রিপোর্ট :
পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আজ মঙ্গলবার (৭ মে) মস্কোর সময় দুপুরে ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে শপথ নেন তিনি। রাশিয়ার সমসাময়িক ইতিহাসে এই অনুষ্ঠানটি অষ্টমবারের মতো হয়েছে।
পুতিন এরই মধ্যে চারবার শপথ নিয়েছেন। ২০০০ সালে ৪৭ বছর বয়সী প্রার্থী হিসেবে পুতিন ৫২ দশমিক ৯৪ শতাংশ রাশিয়ানদের সমর্থন পেয়েছিলেন, ২০০৪ সালে ৭১ দশমিক ৩১ শতাংশ, ২০১২ সালে ৬৩ দশমিক ছয় শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ৭৬ দশমিক সাত শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন। ২০২৪ সালের মার্চের নির্বাচনের সময়, ৭১ বছর বয়সী পুতিন রেকর্ড ৮৭ দশমিক ২৮ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।
১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বরিস ইয়েলৎসিনের নির্বাচনের সময় রুশ কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তারপর থেকে এই অনুষ্ঠানে সামান্য পরিবর্তন দেখা গেছে কিন্তু এর মৌলিক উপাদানগুলো অক্ষত রয়েছে।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এর আগে বলেছিলেন, আজকের অনুষ্ঠানটি প্রোটোকল অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ‘সামান্য পরিমার্জন’ করা হয়েছে।
ঐতিহ্যগত প্রোটোকল হলো, প্রেসিডেন্ট ক্রেমলিনের ভবন নম্বর ১ থেকে গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদে যাবেন। পরে তিনি হলস অফ দ্য অর্ডার অফ সেন্ট জর্জ এবং সেন্ট আলেকজান্ডার অফ দ্য নেভা হয়ে সেন্ট অ্যান্ড্রুস হলে যাবেন। সেখানে অনুষ্ঠানটি হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট রেড করিডোরের মধ্য দিয়ে হেঁটে ক্রেমলিনের ক্যাথেড্রাল স্কোয়ারে যান এবং সেখানে প্রেসিডেন্ট রেজিমেন্টের সেনাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদে পুতিনের আগমনের সময় আমন্ত্রিতরা গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদের সেন্ট অ্যান্ড্রু’স হলে তাদের জায়গা করে নেন এবং ক্রেমলিনের নীরব ড্রিল প্লাটুনের অবস্থানকারীরা হলের মধ্যে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা নিয়ে আসে এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের স্ট্যান্ডার্ড এবং তারপর প্রেসিডেন্টের প্রতীক এবং সংবিধান, যার ওপর পুতিন শপথ নেওয়ার সময় তার হাত রাখেন।
৭ মে ক্রেমলিন দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণের জন্য বন্ধ রয়েছে এবং শুধুমাত্র বিশেষ আমন্ত্রণে প্রবেশ করা সম্ভব হয়। রাশিয়ার নির্বাহী, আইন প্রণয়ন ও বিচার বিভাগীয় শাখার সদস্যসহ কয়েক হাজার অতিথি শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে রাশিয়ান সরকারের সদস্যরা, ফেডারেশন কাউন্সিল এবং স্টেট ডুমা (রাশিয়ান পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ), প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং গভর্নররা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রেমলিনের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্ডার অব দ্য সেন্ট এপোস্টেল অ্যান্ড্রু, হিরো অব রাশিয়ার খেতাবের ধারক, প্রধান প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রধান ব্যক্তিরা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, ব্যবসায়ী, সামরিক ব্যক্তিত্ব, বিজ্ঞানী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়াবিদ ও সাংবাদিক।