একইসাথে বিশ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্ট- দুই জোটকে সক্রিয় করতে চায় বিএনপি। দলের নেতারা বলছেন, জোট সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুধু জোটই নয়, জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান বিএপি নেতারা।
ঐক্যফ্রন্ট গঠন নিয়ে ২০ দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বিএনপির। একটি জোট থাকার পরও বিএনপির নতুন করে আর একটি জোট করা মানতে পারছিলো না বিশ দলের শরীকরা। সেই থেকেই সম্পর্কের টানাপোড়েন।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের পর ঝিমিয়ে পড়ে এই ঐক্যফ্রন্ট। গত ২ বছর একরকম অকার্যকর অবস্থায় আছে এই জোটটি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, দূরত্ব কমাতে উভয় জোটের সঙ্গেই যোগাযোগ শুরু করেছে বিএনপি। দাবি আদায়ে আবারও একসঙ্গে মাঠে নামতে চায় বলে জানায় দলটি। এর প্রস্তুতি হিসেবেই মহাসচিব জোটসঙ্গীদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যোগাযোগ তো আমাদের সবার সাথে আছে কিন্তু যুগপৎভাবে সবাই যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। যখন জাতীয় আন্দোলন শুরু হবে তখন স্বাভাবিকভাবে যুগপৎভাবেই হবে। তখনও সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে।
যুগ্ম-মহাসচিব্ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, নির্বাচন আদায়ের ব্যাপারে যে আন্দোলনটা, সে ব্যাপারটারও কড়া প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই আমাদের দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব যোগাযোগ শুরু করেছেন এবং ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্বে যে নেতা তিনিও শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি, এই দুটো প্ল্যাটফর্মকেই আবারও আমরা খুব তাড়াতাড়ি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন এবং পরবর্তীতে নির্বাচন এই লক্ষ্যে নতুন করে সক্রিয় করতে সক্ষম হবো।
শুধু জোট নয়, আলোচনা চলছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও। জোটকে নতুন করে সক্রিয় করতে বিএনপির উদ্যোগের ফল খুব দ্রুতই দেখা যাবে বলেও জানান বিএনপি নেতারা।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০ দলের ঐক্যজোটের বাইরেও যারা আছে তাদেরও লক্ষ্যবস্তু একটাই- জাতিকে অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক অবস্থা থেকে মুক্ত করা।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সেই সরকার যদি বিশেষ করে অত্যাচারী হয় বেশি মাত্রায়, সেই দিকগুলো লক্ষ্য করে এগুতে হচ্ছে বলে গতিটা সেরকমভাবে বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু আলোচনা হচ্ছে এবং সেই আলোচনার ফলাফলও আপনাদের দেখতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে বলে আমার মনে হয় না।
জোট সক্রিয় করেই কর্মসূচিভিত্তিক আন্দোলনে নামতে চায় বিএনপি।