বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় দুই পরিবহন শ্রমিক গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং তাদের মুক্তির দাবিতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ রুটে বাস চলাচল বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল নগরের রুপাতলী বাস টার্মিনালের সামনে সুরভী চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে পরিবহন শ্রমিকরা।
এসময় তাদের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং টায়ার জ্বালাতে দেখা যায়।
বরিশাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ রুটে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুপাতলী মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রফিকুল ইসলাম মানিক।
বরিশাল পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলায় আমাদের দুই শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কোনো লোক ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়নি। আমরাও ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি।
এক শ্রমিক জানান, তাদের কেউই কিছু করেনি। শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়েছে বিআরটিসির স্টাফদের সঙ্গে। আমাদের শ্রমিকদের যদি না ছাড়া হয় তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে। ইতিমধ্যে বরিশালের রুপাতলী থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। ওদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন করছে। আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার মেমি নিজ বাড়ি খুলনায় যাওয়ার জন্য রুপাতলীস্থ বিআরটিসি কাউন্টারে যায়। সেখানে কাউন্টার স্টাফ রফিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে সজলকে মারধর ও মেমিকে লাঞ্চিত করে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে এবং রফিককে গ্রেফতারের দাবি জানায়। পুলিশ ১ ঘণ্টার মধ্যে রফিককে গ্রেফতার করলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। পরে মঙ্গলবার রাতে রুপাতলী এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেসে গিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।