বরগুনার আমতলী উপজেলায় চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নের পাতাকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান বাদল খানের মামাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মাহবুব ইসলাম ও হত্যা মামলার আসামি মহিবুল্লাহ কিরনসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাতাকাটা বাঁধের উপরে অবস্থান নেয়। তারা সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মহসিনের কর্মী ব্যবসায়ী মো. শানু হাওলাদারের ওপর হামলা চালায় এবং তার দোকান ভাঙচুর করে। এরপর সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারধর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১২ কর্মী আহত হয়। পরে আহত শানু হাওলাদার (৫০), শহীদুল মল্লিক (৪৫), জসিম গাজী (৪০), জাকারিয়া (২৬), লোকমান সিকদার (৪৫), নাসির হাওলাদার (৫০) ও আব্দুস সালামকে (৩০) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ২টি পোড়ানো এবং ৩টি ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান বাদল খান মুঠোফোনে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা আমার তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে এবং লোকজনকে মারধর করেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মহসিন হাওলাদার বলেন, পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মামাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মাহবুব ও হত্যা মামলার আসামী মহিউদ্দিন কিরনের নেতৃত্বে আমার লোকজনকে মারধর এবং দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার দুইটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পোড়ানো এবং তিনটি ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।