নিউজ ডেস্ক:
অবৈধ ক্যাসিনোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের পেছনের গডফাদার ও মদদদাতাদের খোঁজা হবে। যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসবে তদন্ত ও প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
সোমবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আমরা প্রথম ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানটি শুরু করেছিলাম। ইতোমধ্যে ১৮ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে আলোচিত কিছু নাম ও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। গতকাল সম্রাটকে গ্রেফতার করেছি, তার ছয় মাসের জেল হয়েছে। এখন আলোচনা হচ্ছে, তার কে কে গডফাদার, কারা তার মদদদাতা।
এক প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার বলেন, সম্রাটের অবৈধ অর্থের উৎস কোথায়, ক্যাসিনোর টাকা কোথাও না কোথাও একত্রিত হতো! তা কোথাও যেতো, দেশের বাইরের অর্থপাচার হতো কিনা তা খোঁজা হবে। আমরা খুব অল্প সময় সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাকে পুরোপুরি জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পেলে এসব জানার চেষ্টা করা হবে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় রিমান্ড চাওয়া হবে।
বিদেশে অর্থপাচার মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ। এটা আমাদের অন্যান্য সংস্থা সাধারণত তদন্ত করে। তবে আমাদের কাছে সম্রাটের বিদেশে অর্থপাচারের ব্যাপারে কিছু তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করবো। মানি লন্ডারিং নিয়ে র্যাব তথ্যগত সহযোগিতা করবে।
সম্রাটের প্রশ্রয়দাতাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে লে. কর্নেল সারওয়ার বলেন, তার পেছনে মূল হোতা বা গডফাদারদের খোঁজা হচ্ছে। যেই হোক না কেন, ক্যাসিনোর সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তদন্ত ও প্রমাণ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে এখনই তা বলার সময় আসেনি। আমরা সম্রাটকে রিমান্ডে চাইবো। রিমান্ড পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। কারা তার মদদদাতা, আশ্রয়দাতা সেটা বের করার চেষ্টা করা হবে।