আমতলী উপজেলায় মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টি না থাকায় প্রচন্ড খড়ায় পুরছে রবি ফসলের ক্ষেত। খড়ায় প্রচন্ড তাপদাহের কারনে ঝলসে গেছে বাদাম, মরিচ, মুগডালসহ শত শত একর রবি ফসলের ক্ষেত।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে,এ বছর আমতলী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চিনাবাদাম ৪২৫, মরিচ ৪৫০, খেশারী ৫ হাজার, মুগ ১০ হাজার ২৫০, মসুর ২০, ছোলা ২৫ ও ফেলন ৯৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
গত তিন মাস ধরে বৃষ্টি নেই। অনাবৃষ্টির কারনে প্রচন্ড তাপদাহে রবি ফসলের ক্ষেত ঝলসে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে রবি ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে চিনা বাদাম, মুগডাল, ফেলন, মুসুরী ডাল ও মরিচ ক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। প্রচন্ড তাপদাহে অনেক ক্ষেতের ফসল ঝলসৈ গেছে।
পানির অভাবে গাছ থেকে ফলন বের হতে পারছে না। কালিপুরা গ্রামের কৃষাণী মোসা. রাবেয়া বেগম বলেন, ১৮ শতাংশ জমিতে মুগডাল চাষ করেছিলাম তা ঝলসে গেছে। তিনি আরো বলেন, পানির অভাবে গাছ থেকে ফলন বের হতে পারছে না।
একই এলাকার রাজ্জাক কবিরাজত ও তোফাজ্জেল হাওলাদার বলেন, প্রচন্ড রোধের তাপে সব ঝলসে গেছে এবং মাটি চৌচির হয়ে গেছে।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের রুস্তুম মিয়া বলেন, ৭০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় খড়ায় তা ঝলসে গেছে।
কাউনিয়া গ্রামের কৃষক রহিম খলিফা বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে মুগডাল চাষ করেছি। গাছ ভালো হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে প্রচন্ড রোধে ফলন বের হতে পারছে না। এ বছর লাভতো দুরের কথা আসলই উঠবে না।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের শরিফ হোসেন বলেন, প্রচন্ড তাপে ঝলসে তছনছ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, গরমে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
হলদিয়া গ্রামের দুলাল মোল্লা বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছিলাম কিন্তু তাপদাহে গাছ ঝলসে নষ্ট হয়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে মাটির নিচে জমানো পানি শুকিয়ে ক্ষেতে লবনাক্ততা দেখা দেওয়ায় গাছ ঝলসে গেছে। তিনি আরো বলেন, অনাবৃষ্টি ও কৃষক সঠিক সময়ে সেচ দিতে না পারায় এ বছর কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যাবে না।