পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে বাউফল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৫ এপ্রিল সকালে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরমিয়াজান এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আকলিমা আক্তার নামে এক নারীকে অমানবিকভাবে মারধর করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন ওই ভিডিও ফেইসবুকে অপলোড করলে তা ভাইরাল হয়। ১৫ এপ্রিল বাউফল থানায় আ. সালাম হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার রাতে বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন থেকে ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত শাকিল হোসেন ওরফে শাকিল ডাক্তারকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। পরে আভিযান চালিয়ে আরও আট আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- শাহ আলম গাজী, জাফর হাং, হৃদয় বিশ্বাস, সজিব হাং, মনির মৃধা, পারভেজ মীর, ইউসুফ মৃধা এবং আজিজুল হক। আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
নির্যাতনের শিকার আকলিমা আক্তার বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।