বরিশালে ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন। রাস্তায় বেড়েছে রিক্সাসহ ব্যক্তিগত যানবাহন। বেড়েছে মানুষ চলাচল। খুলেছে অনেক দোকানপাট। নগরীর ৩টি প্রবেশদ্বারে সকালের দিকে বহিরাগত প্রবেশে কড়াকাড়ি করে পুলিশ। তবে বিকেলে ঢিলেঢালা হয়ে যায় সব কিছু। অপরদিকে লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩জন ব্যক্তিকে ৪ হাজার ৯শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রথম দফায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। সে হিসেবে বুধবার টানা অস্টম দিনে বরিশালে লকডাউন চলছে ঢিলেঢালাভাবে। আগের ৭ দিনের চেয়ে রাস্তায় বেড়েছে রিক্সা ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওষুধ ও মুদী দোকান ছাড়াও অনেক দোকান খুলেছে। রাস্তায় বেড়েছে মানুষ চলাচল। পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কাউকে দেখলেই দোকানের শাটার আটকে দিচ্ছেন দোকানীরা।
লকডাউন বাস্তবায়নে সকালের দিকে পুলিশ নগরীর ৩টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট স্থাপন করে বহিরাগতদের ফিরিয়ে দেয়। অপ্রয়োজনীয় যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে তারা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুলিশের তৎপরতা কমে যায়। রাস্তায় বেড়ে যায় মানুষ এবং যানবাহন।
এদিকে লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে বুধবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন এবং নিশাত ফারাবীর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্য বিধি এবং লকডাউন উপেক্ষা করায় ১৩ জন ব্যক্তিকে ৪ হাজার ৯শ টাকা জরিমানা আদায় করেন। জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন।