বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতিকে কিশোর গ্যাংদের হাতুড়ি পেটা!

আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতিকে কিশোর গ্যাংদের হাতুড়ি পেটা!

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ ইসফাক আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের কিশোর গ্যাং হাতুড়ি পেটা করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মোয়াজ্জেম খানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের মিঠাবাজার এলাকায় বুধবার রাত পৌনে এগারটার দিকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানাগেছে, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কাউন্সিলর রিয়াজ মৃধার কাছে পাওনা ৪১ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিল। পথিমধ্যে মিঠাবাজার এলাকায় তার বাসায় সামনে কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ ইসফাক আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে মেহেদী, জাকার, তৌকির, হাসান, রাকিব ও রবিউলসহ ১০-১২ জনের ওত পেতে থাকা কিশোর গ্যাংরা তার উপর হামলা চালায় এমন দাবী মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনের। কিশোর গ্যাংরা তাকে হাতুড়ি পেটা করে তার সাথে থাকা ৭৬ হাজার টাকা, স্বর্নের চেইন ও দামী মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে কিশোর গ্যাংরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ ইসফাক আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে মেহেদী, জাকার, তৌকির, হাসান, রাকিব ও রবিউলসহ ১০-১২ জনের কিশোর গ্যাং আমাকে হাতুড়ী পেটা করেছে। তিনি আরো বলেন, কিশোর গ্যাংরা আমার কাছে থাকা ৭৬ হাজার টাকা, একটি স্বনের চেইন ও একটি দামী মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে ওরা আমাকে মেরেই ফেলতো। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন আমার কাছে পাওনা ৪১ হাজার টাকা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরছিল। ওই সময়ে শুনেছি তিনি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মোয়াজ্জেম খানকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়েই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech