বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান-শপিংমল খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা

রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান-শপিংমল খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান ‘লকডাউনে’ ক্রেতা সাধারণ, দোকান মালিক ও কর্মচারীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।  রোববার (২ মে) এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি।

একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, চলমান ‘লকডাউনে’ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মার্কেট ও দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা সাধারণ বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ইফতার করে। কারণ সমস্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বাইরে ইফতার করার কোনো সুযোগ থাকে না। অন্যদিকে বেসরকারি অফিস ৪টায় ছুটি হয়। তারা মার্কেটে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কেনাকাটা করে। এতে দেখা যায় এ সময় মার্কেটে ক্রেতাদের চাপ বাড়ে ও প্রচণ্ড ভিড় হয়। বাসায় গিয়ে ইফতার করতে সন্ধ্যা ৭টা বেজে যায়। মার্কেট ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও এক ঘণ্টার জন্য কেউ মার্কেটে আসে না। ফলে এ সময় মার্কেটে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে। বিভিন্ন টক শোতে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মার্কেটে কেনাকাটায় ক্রেতা সাধারণের প্রচণ্ড চাপ বাড়ে সেজন্য মার্কেট ও দোকানসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখলে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণের মার্কেটে যে ভিড় থাকে সেটা কমে যাবে ও ক্রেতা সাধারণ সময় নিয়ে কেনাকাটা করার সুযোগ পাবে।

এছাড়া আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জেনে খুশি হবেন যে প্রত্যেক মার্কেট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ৯৫ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। যেহেতু ঈদের আর মাত্র ১০ দিন বাকি সেহেতু ক্রেতা সাধারণ, দোকান মালিক-কর্মচারীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার জন্য সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সমগ্র বাংলাদেশের সব দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকার কর্তৃক ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। আমরা দোকান মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সারদেশের দোকানপাট ও মার্কেটসমূহ বন্ধ রাখার আহ্বান জানালে দোকান মালিকরা ‘লকডাউন’ চলাকালীন সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দোকানপাট বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে ক্ষুদ্র, পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে বিশেষ বিবেচনায় প্রথমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ও পরবর্তীতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকাল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech