বরিশাল বিভাগে মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ সময় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন করোনা পজিটিভ এবং একজন উপগর্স নিয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৬৭ জন।
সোমবার (০৩ মে) বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ ছাড়া পরীক্ষা করাতে আসা মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ করোনা পজিটিভ বলে জানিয়েছে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষাগার। অর্থাৎ করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু কমলেও শনাক্তের হার বেড়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, নতুন ৬২ জন নিয়ে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬৮ জন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল জেলায়। বরিশাল জেলায় নতুন ২৩ জন নিয়ে মোট ৬ হাজার ৬৭৩ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১৩ জন নিয়ে ২ হাজার ১৩৬ জন, ভোলায় নতুন ৯ জন নিয়ে ১ হাজার ৭৭৭ জন, পিরোজপুরে নতুন ৩ জন নিয়ে ১ হাজার ৫৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বরগুনায় নতুন ৬ জন নিয়ে ১ হাজার ২১৯ জন এবং ঝালকাঠিতে নতুন ৮ জন নিয়ে ১ হাজার ২৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার রোগী।
বিভাগে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬৭ জন। এর মধ্যে বরিশালে ১১৩ জন, পটুয়াখালীতে ৫০ জন, ভোলায় ২৪ জন, পিরোজপুরে ৩১ জন, বরগুনায় ২৪ জন ও ঝালকাঠিতে ২৫ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, ২৪ ঘণ্টায় যে দুইজন করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের একজন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার গোরস্থান রোড সড়কের বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী আকলিমা বেগম।
অপরজন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ৯৫ বছর বয়সী নুরুদ্দিন। তারা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৯১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশের করোনা পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ ১৩২ জন নেগেটিভ ও ৫৩ জন পজিটিভ। এ সময় করোনা ইউনিটে ১০ জন নতুন রোগী উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪ জন করোনা পজিটিভ। উপসর্গ নিয়ে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৭৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যার মধ্যে ৫৪ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি। ২৪ জন করোনা রোগী। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করাতে আসা উপসর্গধারী রোগীর মধ্যে ২৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ থাকলেও বিগত ২৪ ঘণ্টায় সেই হার বেড়ে ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।